প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর 'ব্যর্থ' হয়েছে দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলছেন, 'ভারত থেকে খালি হাতে ফিরে এসেছেন শেখ হাসিনা।'
তিনি আরও বলেন, তিস্তাসহ সব আন্তর্জাতিক নদীর পানি পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার। এটা কারও দয়ার বিষয় নয়।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর গুলশানে নিজের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'এই সফরে আমি সম্পূর্ণ তৃপ্ত, ফলপ্রসূ হয়েছে। সম্মানের দিক থেকে আমরা সমান-সমান। এখানে হতাশার কিছু নেই।'
প্রতিক্রিয়ায় পরদিন জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডেকে খালেদা জিয়া বলেন, 'শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নাকি এ সফরে তৃপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তৃপ্ত নয়, বরং আতংকিত।'
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কতোগুলো আশ্বাস নিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছেন। আমাদের সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।'
বিএনপি চেয়ারপারসনের অভিযোগ, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে যেসব সাফ্যলের চিত্র তুলে ধরেছেন তার বেশির ভাগ অসত্য ও একতরফা।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমঝোতা ও চুক্তি করা হয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি।'
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই- ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈরিতা নেই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানে আমরা বিশ্বাসী। তবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ জড়িত রয়েছে এমন কোনো বিষয়ে বিএনপি চুপ থাকতে পারে না।'
এসময় তিনি বলেন, 'ভাটির দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সব নদীর পানি পাওয়া আমাদের অধিকার। এটা কারও দয়ার বিষয় নয়। তিস্তার পানি জটিলতার বিষটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই সমাধান করতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।