ন্যাম ভবনে বরাদ্দ নিয়ে যেসব সংসদ সদস্য যেখানে থাকেন না, তাদের বরাদ্দ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এসব ফ্ল্যাটে মেরামতের টাকাও এখন বরাদ্দ নেয়া সংসদ সদস্যদের কাছ থেকেই নেয়া হবে।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সংসদ সচিবালয়ের কর্মীদের জন্য নির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদ ভবনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অবহেলার কথা তুলে ধরে ন্যাম ভবনের প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে অতিথিদের আবাসনের জন্য এই ভবনগুলো তৈরি করেছিল সে সময়ের আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ২০০১ সালে বিএনিপ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সম্মেলন বাতিল করা হয়। এরপর রাজধানীর শেরেবাংলানগর এবং বনানীতে নির্মাণ করা ফ্ল্যাটগুলো সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মানুষকে বরাদ্দ দেয়া হয়।
কিন্তু বরাদ্দ নিয়েও সংসদ সদস্যদের অনেকেই এসব ফ্ল্যাটে থাকেন না। তারা নিজেদের কাজের লোক, দলীয় কর্মী বা গাড়িচালকদেরকে সেখানে রাখেন।
গত প্রায় দেড়যুগে এসব ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের বিপুল অর্থ খরচ করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সংসদ সদস্যরা নিজেরা না থেকে লোক রাখেন বলে তারা যত্ন নিয়ে আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করেন না বলেই এত দ্রুত এসব নষ্ট হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে যে মেরামত হবে তার খরচ বরাদ্দপ্রাপ্ত এমপিদের কাছ থেকে নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘যারা নিজেরা না থেকে ন্যাম ফ্ল্যাট নিয়ে রেখেছে, তাদের নাম কাটা যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেরা না থেকে কাজের লোক, ড্রাইভার বা ক্যাডার রাখবেন, এটা চলবে না। যারা নিজেরা থাকবেন না তারা নাখালপাড়ায় এমপি হোস্টেল আছে সেখানে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবার নিয়ে সংসদ সদস্যরা থাকবেন-এটাই তো কথা ছিল। তাহলেই এটার তাহলেই এটার রক্ষণাবেক্ষণ ভাল হবে।’
এই তাগাদা ঘরোয়াভাবে এর আগেও দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগে প্রাইভেটলি বলেছি, এবার পাবলিকলি বললাম।’
বরাদ্দ নিয়েও যেসব সংসদ সদস্য ন্যাম ফ্ল্যাটে থাকেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিফ হুইপতে তাগাদাও দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘চিফ হুইপ যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’