উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার পাশাপাশি দেশটির ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সব ১০০ সিনেটেরকে হোয়াইট হাউজে তলব করে এ কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশটির বিরুদ্ধে গত বছরই কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন। এর পরও উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। সর্বশেষ দেশটি চলতি মাসের প্রথম দিকে ষষ্ঠ পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর চেষ্টা করে। তবে এটি ব্যর্থ হয়। এছাড়া দেশটি বারবার যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হোয়াইট হাউজে ১০০ সিনেটরকে তলব করে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ড্যান কোটস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি ওই উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে চায় ওয়াশিংটন।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পথ খোলা রাখছি। তবে আমরা আমাদের ও মিত্রদের রক্ষার জন্য সামরিকভাবেও প্রস্তুত।’
ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ক্রিস্টোফার কুনস জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের ব্রিফিংয়ের সময় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখার কথা বলা হয়েছে।