হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ ইব্রাহিম। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। মৃত্যু মুখে দাউদ ইব্রাহিম এমন খবরও প্রকাশ করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
কেউ কেউ আবার দাবি করেছে, বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর প্যারালাইসড হয়ে গেছেন দাউদ। তার শরীরের ডান অংশ একেবারেই কাজ করছে না। গত ২২ এপ্রিল ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের মূলচক্রীকে। খবর, প্রতিনিয়ত দাউদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে।
তবে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন দাউদের অন্যতম শিষ্য ছোট শাকিল। তার দাবি পুরো খবরটাই ভুয়া। সুস্থ অবস্থাতেই রয়েছেন ‘ডন’।
অন্যদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তানের করাচির অভিজাত এলাকা ক্লিফটনের একটি বিলাসবহুল বাড়িই দাউদের বর্তমান আস্তানা। সেখান থেকেই নিজের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে সে। ছোটা শাকিলের মতোই দাউদের অসুস্থতার খবর অস্বীকার করেছে তার পরিবার। তাঁদের দাবি, পুরো খবরটাই মিথ্যে। এর আগে গত বছর জল্পনা ছড়িয়েছিল, দাউদের দুই পায়ে গ্যাংরিন হয়েছে। করাচির বাড়িতে রেখেই তার পরিচর্যা চলছে।
৬১ বছর বয়সি দাউদ ইব্রাহিম ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী। তাঁকে সঙ্গত দিয়েছিল টাইগার মেমন ও ইয়াকুব মেনন। ওই বিস্ফোরণে ২৫৭ জন মারা গিয়েছিলেন এবং ৭১৭ জন আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পরই ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল দাউদ। গত ২৩ বছর ধরে সেখান থেকেই নিজের সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন। যদিও পাকিস্তান বরাবরই দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করে গিয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের করাচিতে বেশ বহাল তবিয়তেই দিনযাপন করছে সে। বহুবার তাকে ধরার চেষ্টা করলেও ভারতের সেই প্রয়াস বারবার নষ্ট হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস