পড়ুয়াদের নয়। পরীক্ষায় বসতে হবে অভিভাবকদের। এক ঘণ্টায় দিতে হবে ১০টি প্রশ্নের উত্তর। তাহলেই ছেলেমেয়েকে ভর্তি করানো যাবে পছন্দের কোচিং সেন্টারে।
সূত্রের খবর, ভারতের দমদম এবং লেকটাউন এলাকায় একাধিক বেসরকারি স্কুলের অনেক শিক্ষক বিভিন্ন কোচিং সেন্টার চালান। প্রাথমিক ভর্তিপর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাড়তি ছাত্রভর্তির অনুরোধ এলে তখন সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের পরীক্ষায় বসতে বলেন তারা। বাবা-মায়েরা পাশ করলেই পছন্দের কোচিংয়ে পড়ার সুযোগ পায় পড়ুয়ারা।
দমদম আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা উমা দাস জানালেন, তার মেয়ে সদ্য সিবিএসই বোর্ডে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে। পড়া এগিয়ে রাখতে এখনই দমদমের এক বেসরকারি স্কুলের নামজাদা শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছেন তিনি। উমার কথায়, ‘‘প্রথমে মেয়েকে ভর্তিই করাতে পারছিলাম না। পরে ওই শিক্ষক আমাকে পরীক্ষা দিয়ে মেয়েকে ভর্তি করানোর প্রস্তাব দেন। ’’
কী প্রশ্ন এসেছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ঊমা জানালেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল মেয়েকে কোন পেশায় দেখতে চাই এবং কেন। মাসিক কত টাকা ধার্য রয়েছে মেয়ের পড়াশোনার খরচে। পারিবারিক আয়ের হিসাব এবং মেয়ের পড়ার খরচে স্বামী-স্ত্রীয়ের অংশীদারির হিসাব কত। তবে এ নিয়ে অভিযোগ নেই উমার। তিনি জানালেন, ‘‘পরিবারের রুচি জেনে নিয়ে ছাত্রভর্তি করানো ভাল বিষয়। ’’
একই অভিজ্ঞতা লেকটাউনের বাসিন্দা রায় দম্পতিরও। পেশায় সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সুনন্দ রায় বললেন, ‘‘ছেলেকে স্কুলে ভর্তির সময় ইন্টারভিউ দিয়েছি। তবে প্রাইভেট টিউশনে এই প্রথম। ’’ সুনন্দ জানালেন, তাদের জন্য প্রথম প্রশ্নই ছিল, এখানে ছেলেকে পড়াতে কত টাকা দিতে পারবেন।