[caption id="attachment_39877" align="aligncenter" width="800"] ছবি: অসুস্থ্য নাহিদ[/caption]
সকলের মতো নাহিদও দুষ্টমি-হৈ চৈ খেলাধুলা করে দিন কাটাতে পছন্দ করত। পরিবারের দারিদ্র্যতা থাকলেও কোন কিছুতে পিছিয়ে ছিলো না নাহিদ। বাবার কাজে সহযোগিতা, সারাদিন খেলাধুলা দূষ্টামি এবং দিন শেষে পড়াশোনাই ছিলো নাহিদের দৈনন্দিন কাজ।কিন্তু গত ৩৫-৪০ দিন যাবত সে প্রচন্ড মানসিক সমস্যায় ভুগছে।কারো সাথে কথা বলা,হাটা চলা,হৈ চৈ,খেলাধুলা কিছুই করছে না নাহিদ। কারও সাথে দেখা হলে শুধু দুচোখের অশ্রু ঝড়াচ্ছে এবং নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকছে আবার মাঝে মাঝে উদ্ভট আওয়াজ করে যাচ্ছে নাহিদ। নাহিদের বাবা অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে বিভিন্ন ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল তেমন ফলপ্রসু হচ্ছে না।
পুরো নাম মো: নাহিদ হোসেন। পিতা:মো:মনির হোসেন। বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার শাহাজিরা গ্রামের চৌকিদার বাড়ি নিবাসী। নাহিদের বাব দীর্ঘ ৫ বছর খুলনায় ব্যাবসা করতেন । দিনে দিনে ব্যবসায়িক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে তিনি স্বপরিবারে নিজ গ্রামে ফিরে অাসেন। তার দুই সন্তান নাহিদ ক্লাস ৮ম শে্রনীর একজন মেধাবী ছাত্র। দারিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও নাহিদ খুবই নম্র, ভদ্র এবং মেধাবী একজন ছেলে।
ডাক্তার বলছেন উন্নত চিকিৎসা করানো হলে সে সুস্থ হবে আর অতি শীঘ্র চিকিৎসা না নিলে বিষয়টি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। আর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হলে হয়তো নাহিদ অাবার তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে অাসবে।কথা বলবে,হাঁসবে,খেলবে,সবাই কে চিনবে এবং পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশের ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে।
নাহিদের বাবা মনির বলেন, আপনাদের সকলের কাছে অাকুল অাবেদন, আপনার যে যেভাবে পারেন, যতটুকু পারেন আমার নাহিদের চিকিৎসার জন্য হাত বাড়িয়ে দিবেন। যাতে করে আমার সন্তান আগের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
নাহিদকে সহযোগিতা করতে পারেন: বিকাশের এই দুটি নাম্বারে ০১৭১৭০১১৯৫৬, ০১৭৫২১৯৮৪৫৬।