রিভার ব্যাংক ইম্প্রুভমেন্ট, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ও ক্লাইমেটসহ ১১ টি প্রকল্পে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বিকালে শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রামারের এক বৈঠক সূত্রে এ কথা জানা যায় ।
বৈঠক সূত্র জানায়, ১১টি প্রকল্পের মধ্যে বিশ্বব্যাংক সবচেয়ে বেশি ঋণ দেবে রিভার ব্যাংক ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পে। এ প্রকল্পে ৬০ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। অন্যদিকে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলার, ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনিক্যাল প্রোগ্রামে ১৭ কোটি ৭ লাখ ডলার দেবে।
এছাড়াও রিজিওনাল ওয়েদার ক্লাইমেট সার্ভিস, ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ প্রকল্প, থার্ড প্রাইমারি এডুকেশন প্রোগ্রাম ও কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পে বাকি ঋণগুলি দেবে সংস্থাটি। বৈঠক শেষে মার্টিন রামা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এতে সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। পদ্মাসেতু প্রকল্পের মতো আরও বড় বড় প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে।
তবে, তিনি জানান- পদ্মাসেতু প্রকল্পে ফিরে আসার তেমন সম্ভাবনা নেই। বিশ্বব্যাংক সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে। ১১টি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।’ ভৌত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্যাস, শিক্ষা, আইসিটি খাতে আরও ঋণ সহায়তা বাড়াবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ