সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৯ জুনের মধ্যেই ব্রেক্সিট আলোচনা: থেরেসা মে
প্রকাশিত - জুন ১০, ২০১৭ ৬:২৮ পিএম
ব্রিটিশ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পরও উত্তর আয়ারল্যান্ডের দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন থেরেসা মে। কনজারভেটিভ এই নেত্রী বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিটের আলোচনা আগামী দশ দিনের মধ্যে শুরু হবে।
নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দলের নেতা হিসেবে থেরেসা মে সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেসে রানীর সঙ্গে দেখা করেন। রানীর অনুমতি পাওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে ভাষণ দেন তিনি। ভাষণে মে বলেন, আমি এখন একটি সরকার গঠন করব। যে সরকার নিশ্চয়তা দেবে এবং সংকটময় এ সময়ে ব্রিটেনকে এগিয়ে নেবে।
বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত সংসদ হতে চলেছে। থেরেসা মে হঠাৎ করে সাধারণ নির্বাচন ডাকার আগে সংসদে দলের যত আসন ছিল এই নির্বাচনে আসন সংখ্যা তার চেয়েও কমেছে এবং মে’কে তার সিদ্ধান্তের জন্য লজ্জায় পড়তে হয়েছে।
ব্রেক্সিট নিয়ে যে আলোচনা হতে যাচ্ছে এই ফলাফল তার ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মে’র রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। একজন কনজারভেটিভ মন্ত্রী বিবিসির বিশ্লেষক লরা কুয়েন্সবার্গকে বলেছেন ‘এই ফলাফলের পর ক্ষমতায় থাকা থেরেসা মে’র জন্য কঠিন হবে।’
ব্রেক্সিট বিরোধী কনজারভেটিভ এমপি অ্যানা সোব্রি বলেছেন ‘খুবই খারাপ নির্বাচন’ হয়েছে এবং ‘মে’র উচিত এখন তিনি কী করবেন তা ভাবা’। তবে ব্রেক্সিটপন্থী এমপি স্টিভ বেকার বলেছেন দলের উচিত থেরেসা মে’কে সমর্থন করা যাতে ‘স্থিতিশীলতা বজায় থাকে’। বিবিসি।
Copyright © 2024 Sunbd24 - Latest News Update About DSE, CSE Stock market.. All rights reserved.