এমনিতেই পাক-ভারত ম্যাচ মানে স্নায়ু যুদ্ধের ম্যাচ। এটা দু’দেশের আত্ম সম্মান রক্ষার্থেরও ম্যাচ। দু’দেশের সমর্থকরা এ ম্যাচকে টানতে টানতে অবশেষে রাজনৈতিক রূপ দেন। সেই ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে গোটা দেশ যখন ধরে নিয়েছে, টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের মতোই হাসতে হাসতে জিতবেন বিরাট কোহলিরা, তখনই ঘটল পুরো উলটো ঘটনা।
ওভালের মাটিতে বিরাট বিপর্যয়। ইনিংসের শুরু থেকেই বিপর্যয়ের শুরু। তারপর আর দাঁড়ানোর জন্য পায়ের নিচে মাটি পেলো না তারা। ১৮০ রানে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে হারের বদলা নিল পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচ শেষ হতেই ধরা পড়ল অন্য আর এক ছবি। একদিকে শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট, জাদেজা ও ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রোল। অন্যদিকে, ম্যাচ হেরে যাওয়ায় গোটা দেশের বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
এদিন ম্যাচ হারার পরেই কানপুরে শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ। ভারতীয় খেলোয়াড়দের ছবিতে আগুন ধরানো হয়। অনেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিকে, উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় বিরাট-ধোনিদের বাড়ির সামনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। তাদের বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয়ে নিরাপত্তাবাহিনী। অন্যদিকে কানপুর, হরিদ্বার হতাশায় টিভি সেট ভাঙচুর করে ভারতীয় সমর্থকরা।
কাপ হাতছাড়া হয়েছে বিরাটের। মন ভেঙেছে কোটি কোটি ভারতবাসীর। এর মধ্যেই অবশ্য মজা করতে ছাড়ছেন না কেউ কেউ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বদলে বিরাটে হাতে ধরিয়ে তিয়েছেন কমোডের মতো তৈরি একটি কাপ। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। টুইটারে এক ব্যক্তি ওই ছবি টুইট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘ভারতের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কাপটি জিতেছেন বিরাট।’ এখানেই শেষ নয়, পাণ্ডিয়ার আউট নিয়েও শুরু হয়েছে ট্রোল। তাকে এবং জাদেজাকে নিয়ে বেশ কিছু ছবিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি হাসাহাসি হচ্ছে বুমরাহর নো-বল করা নিয়েও। যদিও ভারতীয় সমর্থকরাও এর জবাব দিচ্ছেন। এদিন ওয়ার্ল্ড হকি লিগের ম্যাচে ভারতের কাছে ৭-১ গোলে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান হকি দল। সেই প্রসঙ্গই তুলে আনছেন তারা।