শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
পাচঁশ টাকার ভাংতি না থাকায় নারীকে ধর্ষণ
প্রকাশিত - জুন ২০, ২০১৭ ১:১১ পিএম
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার চরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ করেছে স্পিডবোট চালক ও তার সহকারী। সোমবার দুপুরে তরুণী নিজে বাদী হয়ে লৌহজং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে রোববার মধ্যরাতে পাচঁশ টাকার ভাংতি না থাকায় তরুনীকে পদ্মা নদীর এক চরে নিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, রোববার রাত ১০টায় তরুণী তার স্বামীর বাড়ি বরিশালের কাউনিয়ার পলাশপুর গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ফেরিতে করে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আসার জন্য রাত ১২টা নাগাদ তিনি কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছান। ফেরিটি দেরি করায় ওই গার্মেন্টসকর্মীসহ আরো কয়েকজন কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে উঠে পদ্মা পাড়ি দেন। স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে অন্য যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে নেমে যান।
এদিকে তরুনীর পাচঁশ টাকা ভাংতি না থাকায় তাকে দেরি করায় স্পিডবোট চালক ও আরো একজন যুবক। লোকজন দূরে চলে গেলে চালক স্পিডবোট ঘুরিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার চরে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
পরে রাত আড়াইটায় মেয়েটিকে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে দিয়ে ধর্ষকরা স্পিডবোটটিকে ঘাটে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় এক রিকশাচালক লৌহজং থানায় নিয়ে আসেন। লৌহজং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদা রঙের স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় লৌহজং থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিকে আমরা শনাক্ত করেছি। গ্রেফতার করতে একাধিক অভিযান পরিচালনা করছি। আলামত হিসেবে স্পিডবোটটি পুলিশ জব্দ করেছে।
তিনি জানান, ধর্ষক স্পিডবোট চালক লৌহজংয়ের কুমাভোগ ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামের মজিদ কোম্পানির ছেলে রাজিব কোম্পানি অপরজন উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক শিকদারের ছেলে মিঠু শিকদার।
Copyright © 2024 Sunbd24 - Latest News Update About DSE, CSE Stock market.. All rights reserved.