ওয়াশিংটনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ও রাষ্ট্রদূত থমাস শ্যাননের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যে হতবাক সে কথাও অবলিলায় অবহিত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় অবশ্য জাতিসংঘের কর্মকর্তা হামিদুর রশীদের গ্রেফতারের তথ্য পাননি পররাষ্ট্র সচিব।
ওই বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ জানান, ‘বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তা অনুপযোগী। তাই বাংলাদেশ আশা করছে এ বিষয়টির অবসানে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিকভাবে মনোযোগী হবেন। বন্ধুপ্রতীম দুটি রাষ্ট্রের মধ্যেকার বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়েই ডেপুটি কনসাল জেনারেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার নিষ্পত্তিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও আশা পোষণ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব’।
এ সময় সরাসরি কোন কিছু উল্লেখ না করে আন্ডার সেক্রেটারি শ্যানন বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বহুপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘দু’দেশের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়েও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে’।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প প্রশাসনের কোন কর্মকর্তার সাথে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র সচিবের এটিই হচ্ছে প্রথম বৈঠক। দু'দিনের সফরের প্রথম দিনের এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও বিস্তারিত কথা হয়েছে। এ বছরের শেষে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ষষ্ঠ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাদর আমন্ত্রণ জানান শ্যাননকে। শ্যানন তা গ্রহণ করে বলেছেন যে, সংশ্লিষ্ট সকলে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ওই সংলাপের তারিখ ধার্য করা হবে।