তথ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নীতিমালা মূল্যায়ন ও সংশোধন সুপারিশে নতুন কমিটি তৈরি করার জন্য। এবং আরো ধন্যবাদ জানাই এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিটিকে কমিটির প্রধান করায়। হারুন ভাইয়ের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা আমাদেরকে একটা সময়োপযোগী নীতিমালা দিবে, এই বিষয়ে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। পরে কখনো হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলে বিস্তারিত বলবো। তবে এই ফাঁকে কয়টা কথা বলে রাখি।
কয়েক সপ্তাহ আগে যখন কলকাতায় গেলাম, তখন বেশ কিছু পত্রিকায় দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছিলো। সেখানে এই কথাগুলো বলেছি। বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে সত্যিকার যৌথ প্রযোজনা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে যদি দুই দেশের অংশগ্রহণে ভারসাম্য থাকে।
এখন সেই ভারসাম্য মানে কিন্তু এক ছবিতে দুই দেশের দুই পরিচালক থাকা না। দয়া করে এই অদ্ভুত বাধ্যতামূলক ব্যাপার পরিহার করেন। এর কারণেই এই দেশের প্রযোজকের নাম পরিচালক হিসাবে দেখা যায়।
বরং নীতিমালায় এমন ফিল্টার তৈরি করেন যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, বছরে দশটা যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে ন্যূনতম পাঁচটার গল্প, পরিচালক, এবং লোকেশন যেনো এই দেশের হয়। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আনেন।
এতে যেটা হবে, ঢাকা বা কলকাতা কোথাও অসন্তোষ তৈরি হবে না। কেউ ভাববে না, আমাদেরকে কেবল ভোক্তা বানানো হচ্ছে। তখনই কেবল এটা কাজে আসবে। না হলে এটা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে না এবং এমনকি এটার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে।
আর এই সাফটা চুক্তির আওতায় ছবি বিনিময় জিনিসটা পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করা উচিত। এটা অনিয়ম এবং ফাঁকিবাজির সুযোগ তৈরি করে এবং আখেরে যা দুই দেশের সম্পর্কে বাজে চাপ ফেলবে। এটাকে নিরুৎসাহিত করে যৌথ প্রযোজনাকে উৎসাহিত করেন।
আরেকটা কথা, এখন যৌথ প্রযোজনার ছবিকে দুইবার নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একটা কমিটি স্ক্রিপ্ট পড়ে অনুমোদন দেয়। তারপর ছবি তৈরি হলে সেই কমিটি ছবি দেখে অনুমোদন দেয়। তারপর সেটা আবার সেন্সর বোর্ড দেখে।
এক মুরগী বারবার জবাই করার এই ক্লান্তিকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সহজ এবং যথাযথ পরীক্ষণের পদ্ধতি বের করুন, দয়া করে।
আপনাদের স্বাগত। সবাই আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে যাতে নিয়ম-নীতির মধ্যে সুন্দরভাবে ছবিগুলো তৈরি হয়।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
তথ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নীতিমালা মূল্যায়ন ও সংশোধন সুপারিশে নতুন কমিটি তৈরি করার জন্য। এবং আরো ধন্যবাদ জানাই এই কাজের জন্য যোগ্য ব্যক্তিটিকে কমিটির প্রধান করায়। হারুন ভাইয়ের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা আমাদেরকে একটা সময়োপযোগী নীতিমালা দিবে, এই বিষয়ে আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে। পরে কখনো হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলে বিস্তারিত বলবো। তবে এই ফাঁকে কয়টা কথা বলে রাখি। কয়েক সপ্তাহ আগে যখন কলকাতায় গেলাম, তখন বেশ কিছু পত্রিকায় দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছিলো। সেখানে এই কথাগুলো বলেছি। বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে সত্যিকার যৌথ প্রযোজনা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে যদি দুই দেশের অংশগ্রহণে ভারসাম্য থাকে। এখন সেই ভারসাম্য মানে কিন্তু এক ছবিতে দুই দেশের দুই পরিচালক থাকা না। দয়া করে এই অদ্ভুত বাধ্যতামূলক ব্যাপার পরিহার করেন। এর কারণেই এই দেশের প্রযোজকের নাম পরিচালক হিসাবে দেখা যায়। বরং নীতিমালায় এমন ফিল্টার তৈরি করেন যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে, বছরে দশটা যৌথ প্রযোজনার ছবি হলে ন্যূনতম পাঁচটার গল্প, পরিচালক, এবং লোকেশন যেনো এই দেশের হয়। শিল্পীদের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আনেন। এতে যেটা হবে, ঢাকা বা কলকাতা কোথাও অসন্তোষ তৈরি হবে না। কেউ ভাববে না, আমাদেরকে কেবল ভোক্তা বানানো হচ্ছে। তখনই কেবল এটা কাজে আসবে। না হলে এটা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে না এবং এমনকি এটার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে। আর এই সাফটা চুক্তির আওতায় ছবি বিনিময় জিনিসটা পুরোপুরি নিরুৎসাহিত করা উচিত। এটা অনিয়ম এবং ফাঁকিবাজির সুযোগ তৈরি করে এবং আখেরে যা দুই দেশের সম্পর্কে বাজে চাপ ফেলবে। এটাকে নিরুৎসাহিত করে যৌথ প্রযোজনাকে উৎসাহিত করেন। আরেকটা কথা, এখন যৌথ প্রযোজনার ছবিকে দুইবার নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একটা কমিটি স্ক্রিপ্ট পড়ে অনুমোদন দেয়। তারপর ছবি তৈরি হলে সেই কমিটি ছবি দেখে অনুমোদন দেয়। তারপর সেটা আবার সেন্সর বোর্ড দেখে। এক মুরগী বারবার জবাই করার এই ক্লান্তিকর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সহজ এবং যথাযথ পরীক্ষণের পদ্ধতি বের করুন, দয়া করে। আপনাদের স্বাগত। সবাই আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে যাতে নিয়ম-নীতির মধ্যে সুন্দরভাবে ছবিগুলো তৈরি হয়। (লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)