জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল জড়িত বলে জানা গেছে।
জেলা পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রগুলো জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পরে হুমায়ুনকে কাউনিয়ার আমলি আদালতে তোলা হয়। সেখানে তিনি হাকিম শফিউল আলমের সামনে বিএনপি নেতা সোহেলকে নির্দেশদাতা হিসেবে নিশ্চিত করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেন।
জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবীর হীরা তার ভাই কামালের সঙ্গে বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেলের যোগাযোগের কথা বলেছেন। তারা পরষ্পর যোগসাজশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন ও হুমায়ুন বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন বলে স্বীকার করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, দুই দফায় হুমায়ুনকে ১৫ দিন এবং অন্য আরেকটি হত্যায় মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হীরা।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুর রাজ্জাক পিপিএম মুঠোফোনে বলেন, ‘হুমায়ুন কবীর হীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়ে তিনি এখনো কিছু জানেন না।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে এসপিকে জানানো হয় যে, হুমায়ুন তার জবানবন্দিতে বলেছেন তার ভাইয়ের সঙ্গে এক বিএনপি নেতার যোগাযোগ ছিল।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আপনারা যদি জেনে থাকেন সেখানে আমার বলার কিছু নেই।’
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ার কাচু আলুটারি গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। হত্যাকাণ্ডের পরপরই কুনিওর ভাড়া বাসার মালিক জাকারিয়া বালা, শ্যালক হুমায়ুন কবীর হীরা ও বিএনপি নেতা রাশেদ-উন-নবী-খান বিপ্লবকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস