শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিএনপির সব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর ধরে তিনি বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন।
বুধবার রাতে এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে খালেদা জিয়াকে একটি ‘চিঠি’ পাঠিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকেই জানলাম। দল এই চিঠি গ্রহণ করবে কি করবে না, তা এখনও পর্যন্ত জানি না।’
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শমসের মবির চৌধুরী বলেন, ‘আমি যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে।’
এখন পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কী করবো সেটা পরিকল্পনা এখনো করিনি। চিকিৎসাই এখন মূখ্য। চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করেছি। নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্যও আবেদন জমা দিয়েছি। হাতে পেলেই বিদেশ যাবো।’
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত শমসের মবিন চৌধুরী পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর চাকুরি মেয়াদ শেষে করে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী। সে সময় চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে শমসের মবিনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস