হুমায়ূন আহমেদ মানুষের মুখের কথা, বুকের কথা, প্রতিদিনের কথা বলতেন। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয়ের স্বাদ আর কোনো নাটকে পাইনি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে হুমায়ূন আহমেদ ‘কাব্যিক ও অতিনাটকীয়’ নাট্যধারায় আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন।
হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সন্ধার তার স্মরণে শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করে ম্যাড থেটার। সেখানেই সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এসব কথা বলেন।
হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় বেশ কিছু নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তার সবচেয়ে কাছের মানুষদের একজন আসাদুজ্জামান নূর। তারা দু'জনে বেশ ভালো বন্ধুও ছিলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, 'হুমায়ূন আহমেদের গল্প-সংলাপ অত্যন্ত শক্তিশালী। স্বৈরশাসনের সময় ‘বহুব্রীহি’ নাটকে পাখির মুখে ‘তুই রাজাকার’ উক্তিটি একসময় যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ মুখে মুখে তুলে নেয়। দম বন্ধ করা এক পরিবেশে মন খুলে কথা বলতে পারতাম না। তখনই তার সেই উক্তি সারা দেশে হৈ চৈ ফেলে দেয়। সামাজিক অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে হুমায়ূন আহমেদের প্রতিবাদের দক্ষতা, কৌশল ছিল। '