বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত নায়করাজ

প্রকাশ: ২০১৭-০৮-২৩ ১০:৪৬:১১


Razঅগণিত সিনেমাপ্রেমীর ভালোবাসাকে সঙ্গে নিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। আজ বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয় নায়করাজকে।

গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক নায়করাজ রাজ্জাক। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর ৬ মাস। তার মৃত্যুতে গোটা চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাতিল করা হয় আগামী তিন দিনের শুটিং। সহকর্মীদের কাছ থেকে শেষ বিদায়ের জন্য আজ (মঙ্গলবার) তার মরদেহ দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নেয়া হয়।

নায়করাজ রাজ্জাক কয়েক বছর ধরেই ইউনাইটেড হাসপাতালের এই চিফ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোমেনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হৃদরোগ ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ মাত্রায় ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।

নায়করাজ রাজ্জাক দেশভাগের পরে, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সপরিবারে চলে আসেন। টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় ‘ব্রেক’ এনে দেন চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান। ‘বেহুলা’ ছবির নায়কের চরিত্রে জহির রায়হান নিলেন রাজ্জাককে।

তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে যান ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির মাধ্যমে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরও রাজ্জাক একের পর ব্যবসা সফল ও চূড়ান্ত জনপ্রিয় সব সিনেমা নিয়ে দর্শকদের বুঁদ করে রাখেন। ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ-এর মতো ছবিগুলো তো বাংলা সিনেমার ইতিহাস হয়ে ওঠে। রাজ্জাক অভিনীত কালজয়ী সিনেমার নামের তালিকায় বেশ দীর্ঘ। বাংলা সিনেমার এই মহানায়কের দেহ অবসান হলেও তার শিল্পীসত্তা অম্লান। চিরসবুজ, আধুনিক ভাবধারার মহানায়ক হয়ে তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন- ফ্যাশনে, স্টাইলে আমাদের সত্যিকারের মহানায়ক তিনি।