‘ইন্ডাস্ট্রি এখন কোনো ফিল্ম লোকের হাতে নেই, বাইরের লোকের হাতে চলে গেছে। তবে নায়করাজ রাজ্জাক ইন্ডাস্ট্রিতে বিভাজন করে যাননি।
ইন্ডাস্ট্রির এখনকার অবস্থা খুব খারাপ। আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আবার ফেরত পেতে চাই, বাইরের অনেকে ক্লাশ (বিবাদ) বাঁধিয়ে তালি দিচ্ছে। ’
শনিবার এফডিসিতে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ ও কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তার ছেলে নায়ক-নির্মাতা বাপ্পারাজ।
নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী, বহিষ্কার, হামলা-মামলা আর আদালতে গড়ানোর কারণে সেই সোনালি যুগের বিএফডিসি আজ নানা অভিযোগে জর্জরিত। সবশেষ এফডিসির শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধে, কয়েক দফায় শাকিব খানকে বয়কট-নিষিদ্ধ করার ঘোষণাও দিয়েছেন নির্মাতা সংশ্লিষ্ট সংগঠন। কারণ দর্শানোর নোটিশ পান বাপ্পারাজ, নিষিদ্ধের পর সম্প্রতি চলচ্চিত্রকে বিদায় জানিয়েছেন তরুণ নির্মাতা শামীম আহমেদ রনী। এই অস্থির সময়ে নায়করাজকেও চরমভাবে হেয় হতে হয়েছে। আর এই গ্লানি বুকে নিয়েই গেল সপ্তাহে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নায়করাজ রাজ্জাক।
তাই শিল্পের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করা এবং নিষিদ্ধ নামের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বাপ্পারাজ বলেন, ‘আব্বাকে মাটি দেয়ার পর পিছন ফিরেই শাকিব এবং জায়েদ খানকে দেখে বলি- তোমরা দুজন গলাগলি করো, কোনো ক্লাশে (বিবাদ) যাবা না। আজকে একটা দাবি নিয়ে আমি এসেছি। এখানে সবাই আছেন, অনেক সিনিয়ররা আছেন, আমি হাত জোড় করে বলবো-আমার বাবা চলে গেছেন, তার ওসিলাই-সম্মানে, আজকে এই ব্যানড (নিষিদ্ধ) খেলাটা বন্ধ করে দিন। আমি ফিল্মে আর কোনোদিন আসবো না, এখানে হয়তো আজই আমার শেষ আসা-যদি না কালকের মধ্যে শুনি সব ব্যানড (নিষিদ্ধ) তুলে দেয়া হয়েছে, আমরা সবাই মিলে গেছি। ’
নায়করাজ রাজ্জাক স্মরণে আয়োজিত শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে বাপ্পারাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অভিনয় শিল্পী, গণমাধ্যমকর্মী, শিল্পী সমিতির নেতা ও পরিচালক সমিতির নেতৃবৃন্দ।