ঈদের দিন সকালে পরিবারের পুরুষেরা সাধারনত নামাজে যাওয়ার আগে একটু মিষ্টি মুখ করে তারপর যান। তাছাড়া ঈদে কম বেশি সবাই ঘরে মিষ্টি আইটেম তৈরি করে থাকেন। ঘরের পাশাপাশি অতিথি আপ্যায়নেও এ ধরনের খাবারের কোন জুড়ি নেই।
তাই আজকের আয়োজনে ঈদের দিন সকালের কিছূ আয়োজন থাকছে-
পুডিং
পুডিং একদিকে যেমন পুষ্টিকর, তেমনি খেতেও দারুণ।
উপকরণ:
ঘন দুধ ২ কাপ, বা কনডেন্স মিল্ক ১ কৌটা, চিনি ১ কাপ, ৪টি, ২টি এলাচগুঁড়া। এবং ক্যারামেল তৈরী করতে সমান্য চিনি ।
প্রস্তত প্রণালী:
প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিতে হবে। ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচগুঁড়া ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার একটা পাত্র চুলায় দিয়ে তাতে সামান্য ঘি বা তেল বা মাখনের সঙ্গে চিনি দিয়ে ক্যারামেল করে নিতে হবে। এবার চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে সেদ্ধ অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে।
পুডিং ঠাণ্ডা হতে দিন। ছুরি দিয়ে ছাঁচের চারপাশে ঘুরিয়ে কেটে নিতে হবে। প্লেট ছাঁচের মুখে চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন সুস্বাদু ক্রিম পুডিং।
জাফরানি জর্দা
জর্দা বেশিরভাগ সময় বিয়ে বাড়িতেই খাওয়া হয়। এছাড়া অনেকেই সখ করে হয়তো বিকেলের নাস্তা হিসেবে জর্দা তৈরি করে থাকেন। আর ঈদেও চাইলে আপনি বানাতে পারেন মজাদার জাফরানি জর্দা। পরিবারের সাথে ঈদে বেড়াতে আসা অতিথি আপ্যায়নেও এর জুরি মেলা ভার।
উপকরণ:
পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, চিনি ৩ কাপ, ঘি ৫ টেবিল চামচ, কমলার রস আধা কাপ, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল-চামচ এবং খাবার রং সিকি চা-চামচ, ও কিশমিশ ১০-১২ টা, দারুচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪ টুকরা ও গোলাপ পানি ১ টেবিল-চামচ, মোরব্বা আধা কাপ, মালাই সিকি কাপ, ছোট মিষ্টি ১ কাপ।
প্রস্তত প্রণালী:
গোলাপ পানিতে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ফুটানো পানিতে দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে। ভাত সেদ্ধ হওয়া মাত্র মাড় ঝরিয়ে নিন। আধা কাপ পানিতে চিনি গুলিয়ে লেবুর রস বা দুধ দিয়ে চিনির ময়লা কাটাতে হবে। এরপর ঘি ও এলাচ, দারুচিনি দিতে হবে। এবার ভাত সেদ্ধ আঁচে রান্না করুন। কিশমিশ দিন। পানি শুকিয়ে গেলে জাফরান মিশ্রিত গোলাপ পানি দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে বাকি উপকরণ দিয়ে পরিবেশন করুন।
গুড়ের পায়েস
গুড়ের পায়েস ছোট থেকে বড় সবারই কম বেশি পছন্দ। আপনি চাইলে ঈদের আগের দিনও তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন গুড়ের পায়েস।
উপকরণ:
পোলাওয়ের চাল আধা কাপ (ভেজানো), দুধ ১ লিটার, খেজুরের গুড় ৪০০ গ্রাম, নারকেল কোরানো ১ কাপ, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২ টুকরো, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, বাদাম কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ খুব সামান্য, পানি পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রণালী:
দুধ ফুটিয়ে এক লিটার থেকে ঘন করে আধা লিটার করতে হবে। গুড় এক কাপ পানি দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। চাল ধুয়ে তিন কাপ পানি দিয়ে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, লবণ দিয়ে মৃদু আঁচে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হলে তাতে গুড়, নারকেল ও ঘন দুধ দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন গুড়ের পায়েস।