‘যদি দর্শকদের ভালো না লাগে তাহলে অভিনয় করাটা মূল্যহীন’
প্রকাশ: ২০১৭-০৮-২৯ ১৭:১৮:৪৭
অভিনেতা অনিসুর রহমান মিলন। নাটক ও সিনেমা দুটোতে তিনি অভিনয় করে থাকেন। তবে ঈদের সময় নাটক ও টেলিফিল্ম নিয়েই তিনি ব্যস্ত থাকেন। বারাবরের মতো এবারও তিনি বেশকিছু ঈদ নাটকে অভিনয় করেছেন। এসব প্রসঙ্গসহ শোবিজের নানা বিষয়ে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নুরুল করিম
কেমন আছেন?
ভালো। নৌকার ওপর আছি এখন।
শুটিংয়ে?
হ্যাঁ, হিমেল আশরাফের ‘প্রাপক প্রিয় পরী’ শিরোনামের একটি টেলিছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। টেলিছবিটির শুটিং হচ্ছে বরিশালে।
‘প্রাপক প্রিয় পরী’ টেলিছবিটির গল্প কেমন?
বলা যায়, এটি প্রেমের গল্পের ওপর নির্মিত হচ্ছে। সাধারণত আমাদের দেশের দর্শকরা যেসব প্রেমের নাটক দেখে দেখে অভ্যস্ত, টেলিছবিটির গল্প তেমন না। এই টেলিছবিতে দেখানো হয়েছে একটি সাধারণ প্রেমের জয়গান। একটি প্রেম শুরু হওয়ার আগে কি হয় এবং প্রেমের পরের পরিস্থিতিটা কেমন থাকে। আমি টেলিছবিটিতে অভিনয় করছি শহুরে প্রেমিকের চরিত্রে।
অন্যান্য ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন—
এই ঈদে অনেকগুলো নাটক এবং টেলিছবিতে অভিনয় করছি। নাটকের গল্প ও চরিত্রের বিষয়টি মাথায় রেখেই নাটকের কাজ করছি। মনোযোগ দিয়ে নাটকগুলোতে অভিনয় করার চেষ্টা করছি। কারণ নাটক দেখে যদি দর্শকদের ভালো না লাগে তাহলে অভিনয় করাটা মূল্যহীন।
ঈদের নাটকের মান প্রসঙ্গে কী বলবেন?
সবকিছুতেই ভালো-খারাপ আছে। এই ঈদে সব চ্যানেলের সব নাটক ভালো হবে সেটা তো না। কিছু কিছু নাটকের মান অনেক ভালো হয় এবং আবার কিছু নাটকের মান একেবারেই থাকে না। নাটকের মানটা অনেককিছুর ওপর নির্ভর করে। গল্প, বাজেট, অভিনয়শিল্পী সবকিছুই নাটকের মানের জন্য দায়ী।
আপনি তো সিনেমাতেও অভিনয় করেন। নাটক না সিনেমাকে বেশি প্রাধান্য দেন?
আমি অভিনয় করি। আমি একজন অভিনেতা, এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। আমি অভিনয়কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই। তবে হ্যাঁ, সিনেমায় কাজ করার মাঝে আলাদা একটা ব্যাপার আছে। আর নাটকে অভিনয় করাটা যতটা সহজ সিনেমায় অভিনয় করাটা ততোটা কষ্টকর। দুটোকে দু-ভাবে উপভোগ করি।
ঈদ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা…
এই ঈদে কাটাকাটি করবো! কোরবানির ঈদ মানেই তো গরু কাটাকাটি। আর গরু কাটাকাটি শেষে তিন-চারদিন পরিবারকে সময় দেবো। পরিবারকে ঈদের আগে একেবারেই সময় দিতে পারিনি। এক কথায়, পুরো তিন-চারদিন অবসরে থাকবো।