বিনা অনুমতিতে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। এফডিসির ৪ নম্বর ফ্লোরে ঢুকতেই দরজার গায়ে এমনই নির্দেশনা ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভেতরে চলছে চিত্রনায়ক আলমগীর পরিচালিত নতুন সিনেমার শুটিং। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার শুরু হয়েছে ‘একটি সিনেমার গল্প’ নামের নতুন এই সিনেমার কাজ। প্রথম দিনের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ, সাবেরী আলম আর ভারতের কলকাতার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
দৃশ্যধারণ কক্ষে আলমগীরের সঙ্গে দেখা হতেই বললেন, ‘কেন ভিডিও নেওয়া কিন্তু চলবে না। আমরা পুরো সিনেমার শুটিং শেষ করার আগে এই সিনেমার সেট, অভিনয়শিল্পীদের কস্টিউমসহ কিছুই বাইরে প্রকাশিত হোক, চাই না। আজকাল যে কেউ শুটিং স্পটে নিজের মতো করে ছবি তোলে আর ভিডিও করে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করে দেয়। এতে একটা সিনেমার অনেক কিছুই দর্শকের দেখা হয়ে যায়। আমরা তেমনটা চাই না। আমরা চাই, দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবিটি সম্পর্কে জানুক। তাই চেষ্টা করছি কঠোরভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে।’
দৃশ্যধারণের ফাঁকে নায়ক ও পরিচালক আলমগীরের কণ্ঠে শুটিং স্পটে নিরাপত্তা জোরদারের সে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তিনি ইউনিটসংশ্লিষ্ট সবাইকে বললেন, ‘আজ প্রথম দিন, তাই টুকটাক এদিক-সেদিক হেরফের হচ্ছে। কিন্তু কাল থেকে সবকিছু যেন ঠিক হয়ে যায়।’‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের একজন বললেন, ‘আলমগীর সাহেব যে কঠোরতার মধ্য দিয়ে কাজ করছেন, সব সিনেমার ক্ষেত্রে এমনটা হওয়া উচিত। কাজ করেও খুব ভালো লাগছে।’
ছবির নায়ক আরিফিন শুভ বললেন, ‘সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য ধারণের আগে আলমগীর স্যার নিজে অভিনয় করে যেভাবে দেখিয়ে দিচ্ছেন, তা আমাকে মুগ্ধ করছে। আমি অনেক কিছু শিখছি। তাঁকে হঠাৎ যে কেউ দেখলে মনে করবেন খুব গম্ভীর মানুষ, আসলে তিনি মোটেও তা নন। শুটিং করতে এসে তাঁর রসবোধ দেখে আমি অবাক হয়েছি। শুটিংয়ের প্রথম দৃশ্য থেকে যে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাজ করছেন, তা আমার খুবই ভালো লেগেছে।’
এদিকে ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির শুটিং শুরুর আগে দুপুরে শুভকামনা জানান আলমগীরের স্ত্রী এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, নাট্যজন সৈয়দ হাসান ইমাম, গায়িকা আঁখি আলমগীর প্রমুখ।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলমগীর পরিচালিত নতুন এই ছবির শুটিং চলবে। এই সিনেমার কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আলমগীর নিজেই। এতে আলমগীরের বিপরীতে অভিনয় করবেন চম্পা।
রুনা লায়লা বলেন, ‘এই সিনেমার মধ্য দিয়েই সুরকার হিসেবে আমার অভিষেক হয়েছে। সব মিলিয়ে সুন্দর গল্পের একটি সিনেমা হবে বলে আশা করছি।’
সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘গল্পটা ভালো লেগেছে। আলমগীর নির্দেশক হিসেবে পরীক্ষিত একজন। আশা করছি এটি অতীতের চেয়েও আরও অনেক বেশি ভালো মানের একটি সিনেমা হবে।’