বিয়ের পর, প্লিজ.. লিভ মি এলোন !!

আপডেট: ২০১৫-১০-২৯ ১৯:৪৫:৩৭


i don_88650নতুন বিয়ে করেছেন। দুজনের প্রতি দুজনের আন্তরিকতা, ভালবাসা, বোঝাপড়া দারুণ। কয়েক বছর একসঙ্গে কাটানোর পর দেখলেন, কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছেন না। একজনের পছন্দের সাথে আরেকজনের পছন্দের কোনোভাবেই মিলছে না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের খিটিমিটি লেগেই আছে। একজনের আচরণ আরেকজন মেনে নিতে পারছেন না। সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ রকম সমস্যা হয়তো অনেকেরই।
ঠিক এমনই সমস্যার কথা জানালেন এক ভুক্তভোগী। আর এর সঠিক সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন একজন মনোবিজ্ঞানী। পাঠকের উদ্দেশ্যে সমস্যা ও সমাধানটি তুলে ধরা হলো:

সমস্যা: আমরা সাত বছর হল বিয়ে করেছি। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু এখন কেন যেন মনে হচ্ছে স্ত্রীর প্রতি আমার আকর্ষণ শূন্যের কাছাকাছি নেমে এসেছে। আমি স্ত্রীর সাথে কোনো কাজেই আগ্রহ পাচ্ছি না। ইদানিং দুজনের একসাথে ঘুরতে যাওয়া হয় না। এমনকি ছুটির দিন থাকলেও আমরা কোথাও বের হই নাI আমার স্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে কোনো কিছু করতে চাইলেও আমি আগ্রহ থাকে না। ব্যাপারটা এই রকম না যে আমি অন্য কারো প্রতি আসক্ত। মনে হচ্ছে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। এটা কি হতে পারে? আমাদের কোনো সন্তান নেই। এখন কি করা উচিত? আমি কি এই সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখব নাকি স্ত্রীকে মুক্ত করে দিব?

সমাধান: ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী সীমা হিনগোরানি বলেন, আমি এই সম্পর্কটাকে ভালোবাসাহীন সম্পর্ক বলতে নারাজ। বেশিরভাগ দম্পত্তিই একটা সময়ে এসে এই সমস্যায় পড়েন। বিয়ের কয়েক বছর পরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে একঘেঁয়েমি চলে আসে। তখন আমরা সবাই একই ভুল করি। মনে করি, একজন আরকজনকে আর ভালোবাসি না।

বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, ভালোবাসার চেয়ে একজনের প্রতি আরেকজনের দায়িত্ববোধ ও আন্তরিকতা সম্পর্ককে মজবুত করে। এক্ষেত্রে আমি বলব, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা সম্পর্ক খুব খারাপ অবস্থায় না চলে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্ট করা উচিত না।

যদি দেখেন আপনাদের সমস্যাগুলো দিন দিন বাড়ছে। সব বিষয় নিয়ে আপনাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছে। একজন আরেকজনকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছেন না তখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।  তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আরও দুই একবার ভাববেন। সমস্যার মূল কারণটা বের করার চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রীকে সমস্যাটা বুঝাতে চেষ্টা করুন। আপনি যে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে যথেষ্ট আন্তরিক এ ব্যাপারে তাকে বলুন। সবেচেয়ে ভাল হয় আপনার পছন্দ অপছন্দগুলো স্ত্রীকে খোলাখুলি বলুন। দেখবেন পারস্পারিক আলোচনায় সমস্যা সমাধানে নতুন দ্বারও খুলতে পারে।

সানবিডি/ঢাকা/রাঅা