গৃহকর্মী ছাড়াই ঈদ হবে একদম ঝামেলামুক্ত!

প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২২ ১২:৪৮:০৪


Houseএই ঈদের ছুটিতে সকল গৃহকর্মীই নিজ নিজ বাড়িতে যাবে ঈদ করতে। ফলে ঈদের সমস্ত ঝঞ্ঝাট গৃহিণীদের একাই সামাল দিতে হয়। অন্যদিকে যাদের গৃহকর্মী নেই, তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। কেননা কোরবানি ঈদে অন্যান্য সময়ের চাইতে কাজের চাপ অনেকটাই বেশী থাকে। তাহলে উপায়? জেনে নিন এই দারুণ টিপসগুলো। ঈদের আগেই যদি কাজগুলো সেরে ফেলতে পারেন, গৃহকর্মী ছাড়াই আপনার ঈদের দিনটি কাটবে কাজের চাপ মুক্ত!

১) ঈদের দিনের একটা বড় ঝামেলা হচ্ছে কোরবানির মাংস প্রসেস করা, গুছিয়ে ফ্রিজে তোলা। এই কাজটি করার সমস্ত প্রস্তুতি অগ্রিম নিয়ে রাখুন। পলিথিনের ব্যাগ যোগাড় করে এক জায়গায় রাখুন। বড় বড় কয়েকটি হাঁড়ি, বালতি আগেই বের করে রাখুন। ফ্রিজে জায়গাও করে রাখুন। ঈদের দিন কেবল মাংস গুলো প্যাকেট করে তুলে রাখবেন। এসব হুড়োহুড়ি করতে না হলে অর্ধেক সময়েই সব হয়ে যাবে।

২) মসলা বেঁটে ফেলুন। আদা রসুন পিঁয়াজ ইত্যাদি যা লাগে সব এখনোই বেঁটে ডিপে রেখে দিন। ঈদের দিন বা আগের দিন মসলা বাটার যন্ত্রণা একেবারে করবেন না।

৩) প্রচুর পেঁয়াজ লাগে ঈদের দিনের রান্নায়, কাটতে কাটতে জীবন শেষ? বেশিরভাগ রান্নাতেই কিন্তু কাঁচা পেঁয়াজের পরিবর্তে বেরেশ্তা ব্যবহার করা যায়, কুচির বদলে বাটা দেয়া যায়। পেঁয়াজ বেঁটে ডিপে রাখুন। আর বেশ অনেকটা পেঁয়াজের বেরেশ্তা করে বয়ামে ভরে ফেলুন। যে কোন রান্নায় এগুলো সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।

৪) পেঁয়াজ কিছু ছিলে ঈদের আগের দিনই ফ্রিজে রেখে দিন। পেঁয়াজ ছিলে নেবেন, পানি দিয়ে ধোবেন না। তারপর এয়ার টাইট বাক্সে ভরে রেখে দিন ফ্রিজে। লাগলে কেবল কেটে নিলেই চলবে।

৫) মাংস ছাড়াও ঈদে তো আরও কত বাহারি খাবার রান্না হবে, তাই না? এসব কিছু খাবার আগেই তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। যেমন, স্ন্যাক্স জাতীয় সব খাবার বানিয়ে ফেলতে পারেন। সকালে নাস্তার জন্য কিছু মাংস কষিয়ে ডিপে রেখে দিতে পারেন, সাথে পরোটাও বানিয়ে রাখলেন। ঈদের দিন সকালে কেবল মাংস গরম করে পরোটা ভেজে দিলেই চলবে। এছাড়াও যদি মুরগী রান্না করতে চান, সেটাও রেডি করে রাখতে পারেন। পায়েস, ক্ষীর, দুধ সেমাই ইত্যাদি বেশ কিছু খাবারও কয়েকদিন আগেই তৈরি করে ফ্রিজে রাখা যায়।

৬) ঘরে প্রেসার কুকার আছে? না থাকলে আজই কিনে ফেলুন। ঈদের দিনে আপনার কষ্ট ও সময় দুটিই বাঁচবে।

৭) গরমের মাঝে ঈদ, অনেকেই বাহারি শরবত পরিবেশন করবেন। এগুলো ঈদের আগেই তৈরি করে ফেলতে পারেন। আগের দিন তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিলে ঈদে ঝামেলা অনেক কম হবে।

৮) যেহেতু কোরবানি ঈদে কাজ বেশী থাকে অনেক, তাই কিছু কাজ বাড়িতেও না করলেও চলবে। যেমন রুটি পরোটা তৈরির বিষয়টা। অনেক হোটেলই ঈদের দিন সকালে রুটি পরোটা সাপ্লাই দিয়ে থাকে। সেখানে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখুন। ঈদের দিনের একটা মস্ত বড় ঝামেলার হাত থেকে বেঁচে যাবেন।

৯) কিছু বড় সাইজের প্লাস্টিকের শিট ও প্রচুর খবরের কাগজ যোগাড় করে রাখুন। রান্নাঘরটি এগুলো দিয়ে ঢেকে ফেলুন। তারপর মাংস প্রসেস করার যাবতীয় কাজ করুন। কাজ শেষ হলে এসব তুলে ফেললেই রান্নাঘর একদম ঝকঝকে। পরিষ্কার করার যন্ত্রণা একদম নেই।

১০) ঈদে ও ঈদের পরের বেশ কিছুদিন যা লাগবে, সবই আজ-কালের মাঝে কিনে ফেলুন। আরও যদি কিছু বাকি থাকে, সেগুলো আগামী ২/১ দিনের মাঝেই সেরে ফেলুন। সব কিনে রান্নাঘরের জায়গামত সাজিয়ে ফেলুন। ঈদের দিন কোন কিছু খুঁজে পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হবে না একেবারেই।

ভালো কাটুক সবার ঈদ, প্রিয়জনের সাথে আনন্দে কাটুক। ঈদ মোবারক।