তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে জাতীয় প্রেসক্লাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে সরকার-সমর্থক সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন। আজ বুধবার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এক অনশন কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন ও তথ্যমন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে দিনব্যাপী অনশন কর্মসূচি করে। বেলা ১১টা থেকে সাংবাদিকেরা অনশন শুরু করেন।
অনশনে সভাপতির বক্তৃতায় বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে তথ্যমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আজ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তথ্যমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। আপনি (তথ্যমন্ত্রী) এরপরে প্রেসক্লাবে আসার আগে খোঁজখবর নিয়ে আসবেন।’
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। সকালের খবর পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেল, তিনি কোনো কথাই বললেন না। ইনকিলাবের সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ছাড়াই চাকরিচ্যুতি করা হলো। আপনি কিছু বললেন না। তাহলে আপনাকে কেন অভিভাবক মানব?’
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের অনশন ভাঙান।
সেখানে সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন, ‘আমার কাছে লজ্জা লাগছে যে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের দাবি নিয়ে অনশন করতে হচ্ছে। এই লজ্জা নিয়ে আমরা বাস করছি। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সবাই একত্র থাকলে নবম ওয়েজ বোর্ডের দাবি আদায় হবেই।’
কামাল লোহানী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী কোথায় কখন গিয়েছেন, কী করেছেন তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু গণমাধ্যমের অভিভাবক হয়ে আজ যা করেছেন বা ওয়েজ বোর্ড নিয়ে যা করছেন, তা নজিরবিহীন।’ তিনি অবিলম্বে ওয়েজ বোর্ড ঘোষণার আহ্বান জানান।
বিএফইউজে মহাসচিব ওমর ফারুক, সহসভাপতি শহিদ-উল-আলম, কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মণ্ডল, যুগ্ম মহাসচিব অমীয় ঘটক পুলক, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ সাংবাদিকেরা দিনব্যাপী এ অনশনে বক্তব্য দেন।