অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, অবৈধ মজুদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ মজুদদারদের ভোক্তা আধিকার আইন, অবৈধ মজুদ সংক্রান্ত আইনসহ সব আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, সম্প্রতি বন্যায় হাওরে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে চালের সংকট দেখা দেয়। কিন্তু ওই সংকট মেটাতে যে চাল আমদানি হচ্ছে তা তুলনামূলক বেশি। কিছুদিনের মধ্যে চালের দাম কমতে শুরু করবে।
দুই সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বাড়ছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬-১০ টাকা। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকায় উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে চাল মজুদের কারণে এই দর বেড়েছে। চাল মালিকরা আড়ত ও গুদামে চাল রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করেছে।
যদিও মঙ্গলবার খাদ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ নাকচ করেছেন। তারা বলেছেন, চাল সংরক্ষণ ও পরিবহনে বাধ্যতামূলকভাবে পাটের বস্তা ব্যবহারের কারণে চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। চটের বস্তার কারণে প্রতি কেজিতে এক টাকার বেশি খরচ বাড়ে। কিন্তু প্লাস্টিকের বস্তা অনেক সাশ্রয়ী। প্লাস্টিকের বস্তায় খরচ হয় মাত্র ১৫-১৬ পয়সা। যদি চটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা হয় তবে আমদানিতে প্রতি কেজি চালের দাম দুই টাকা কমবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখনই চটের বস্তায় চাল আমদানির সরকারি বাধ্যবাধকতার সদ্ধিান্ত আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হল। এখন যে যেভাবে পারেন চাল আমদানি করেন। আমরা এনবিআর ও কাস্টমসকে বলে দিচ্ছি। কেউ বাধা দেবে না। প্লাস্টিকের বস্তাসহ ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে খুশি চাল পরিবহন করতে পারবেন।