মিরসরাই উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ধুল্লাছড়া নামক পাহাড়ি এলাকায় একটি রহস্যজনক সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে।
প্রায় আড়াই ফুট প্রস্থের এই সুড়ঙ্গটি দেখতে অনেকে সেখানে ভিড় জমাচ্ছে। উৎসুক জনতা ১৫ থেকে ২০ ফুট ভেতরে প্রবেশ করলেও ভয়ে বাকি পথ যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
তবে প্রশাসন এই বিষয়ে আতংকিত না হওয়ার কথা বলেছে।
রহস্যময় এই গুহা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর সর্বমহলে চলে আলোচনা-সমালোচনা।
এ দিন বিকালে সরকারের বিশেষ বিভাগের জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী পর্যবেক্ষক জানান, এটি একটি ভাল্লুকের গর্ত। সর্বোচ্চ ২৫ ফুট দীর্ঘ এই গর্ত। এই গর্ত দিয়ে ঢুকে আবার সেই মুখ দিয়েই বেরুতে হয়। আর কোনো মুখ নেই এই গর্তের।
সুড়ঙ্গ দেখতে আসা করেরহাটের কামরুল ইসলাম ( ২৪) বলেন, সকালেই এমন একটি রহস্যময় সুড়ঙ্গের খবর পাই। এরপর লোকজন দেখতে যাচ্ছে দেখে আমিও দেখতে যাই।
এরই মধ্যে উৎসুক মানুষ প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত ভেতরে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাকি পথ যেতে কেউ সাহস করছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভেতরে আরও পথ আছে। দৈর্ঘের পরিমাণ কতটুকু তা কেউ বলতে পারছে না। সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রতি ১০ ফুট পর দুই-তিনজন মানুষ বসার স্পেস রয়েছে। আড়াই ফুট প্রস্থের এই সুড়ঙ্গে বসার স্পেসগুলোতে ৪-৫ ফুট করে জায়গা।
এই বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করেননি স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন এবং ঘটনাস্থল এলাকার হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।
উভয় চেয়ারম্যান বললেন, আমরাও ফেসবুকে ছবি দেখে ও প্রশাসনের লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, উপজাতিরা পাহাড়ে দীর্ঘপথ ছোট করার জন্য অনেক সময় ছোট সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে। তবে এই গর্তটি অতি ছোট। একজন মানুষ অনেক কষ্টে ভেতরে প্রবেশ করতে পারলে ও আবার কষ্ট করেই বেরোতে হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগের পর্যবেক্ষক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন- একমাত্র ভাল্লুকই এমন গর্ত করে থাকে নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য।