জনগণের অর্থে বিলাসিতা দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে হল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইসকে।
সরকারি একটি কাজে অনেক অর্থ খরচ করে বেসরকারি বিমান ভাড়া করে গিয়েছিলেন প্রাইস; যা ক্ষুব্ধ করেছিল তার নিয়োগকর্তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ট্রাম্প তার অসন্তোষের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি খুশি হতে পারিনি। বুঝলেন, একদমই খুশি হতে পারিনি।” এর পরপরই শুক্রবার প্রাইসের পদত্যাগের ঘোষণা আসে বলে বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বাস্থ্য ও জনসেবা মন্ত্রী টমাস প্রাইস পদত্যাগের ইচ্ছা জানালে প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন করেন।” কংগ্রেসের সাবেক সদস্য প্রাইস সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বাস্থ্যনীতি (যা ওবামাকেয়ার নামে পরিচিত) বদলে দেওয়ার মূল রূপকার।
সমালোচনা ওঠার পর প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, বিমান ভাড়া করে যাওয়ার জন্য সরকারের যে ৫২ হাজার ডলার খরচ হয়েছে, তা তিনি মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু তাতেও ট্রাম্প যে সন্তষ্ট হতে পারেননি, তা স্পষ্ট।
ট্রাম্প প্রাইসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে ডন রাইটকে স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসের পরিচালক সীমা বর্মা, যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের কমিশনার ডা. স্কট গোটিলিয়েবের নামও আলোচনায় রয়েছে।
দুজনের মধ্যে গোটিলিয়েব এগিয়ে রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ঝামেলা ট্রাম্পকে ছাড়ছেই না। প্রাইসের কেলেঙ্কারি এবং পদত্যাগ তার সরকারের উপর নতুন আঘাত।
এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের মন্ত্রী জন কেলিকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, ওই পদেও কাউকে এখনও স্থায়ীভাবে না নেওয়ার আগেই আরেকটি দপ্তরের শীর্ষ ব্যক্তি খুঁজতে হচ্ছে ট্রাম্পকে।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের আরও তিন কর্তাব্যক্তি সরকারি কাজে ভাড়া করা বিমান ব্যবহারের জন্য সমালোচিত।
তাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়ান জিনকে গত জুন মাসে লাস ভেগাস থেকে মন্টানায় যেতে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ডলার ব্যয় করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন গত মাসে সূর্যগ্রহণ দেখতে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমান ভাড়া করে।
এছাড়া পরিবেশ দপ্তরের প্রধান স্টক প্রুইটের একটি সফরে ৫৮ হাজার ডলার খরচ গুনতে হয়েছে সরকারকে।