সঠিক লাইন লেংথে বল করে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলামরা। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তুলতে চাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেঁধে রেখেছেন তারা।
সহায় হয়েছে প্রকৃতিও। আলোক স্বল্পতায় সেনওয়েস পার্কে শনিবার প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন ১৬.১ ওভার খেলা কম হয়েছে। তবে প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের বড় লিড পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে এগিয়ে আছে ২৩০ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বস্তিতে ব্যাট করতে পারেনি স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষে সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান।
প্রথম দিন শুরুটা খারাপ না করলেও শফিউলকে দুই ওভার পরেই সরিয়ে নিয়েছিলেন মুশফিক। ডানহাতি পেসারকে এবার অত দ্রুত সরাননি অধিনায়ক। তার ফলও পেয়েছেন তিনি। নিজের চতুর্থ ওভারে শফিউল ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলা ডিন এলগারকে।
ভেতরে ঢোকা বলে এলগারের ফ্লিক ব্যাটের কানার পাশ ঘেঁষে প্যাডে লাগে। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।
মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় বল করতে আসা মুস্তাফিজ বিদায় করেন অভিষিক্ত এইডেন মারক্রামকে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলার সময় ব্যাট মাটি স্পর্শ করেছিল। তাই হয়তো ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বুঝতে পারেননি ব্যাটে বলের ছোঁয়া লেগেছে কি না। কটবিহাইন্ড হওয়ার পর একটু ভেবে রিভিউ না নিয়েই ফিরেন। রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল ব্যাটে লাগেনি।
প্রথম ইনিংসে অনায়াসে রান পাওয়া হাশিম আমলাকে এবার প্রতিটি রানের জন্য লড়তে হচ্ছে। অত সহজে রান পাচ্ছেন না কেউই। এক প্রান্তে তো টেম্বা বাভুমাকে চেপেই ধরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। রানের চাকা যা একটু সচল রেখেছেন প্রথম ইনিংসে শতক পাওয়া আমলাই।
আমলা অপরাজিত ১৭ রানে। বাভুমা খেলছেন ৩ রান নিয়ে।
বাংলাদেশের ১০ উইকেট নিতে বোলারদের যথেষ্ট ওভার দিতে হবে ফাফ দু প্লেসিকে। আবার দলকেও নিয়ে যেতে হবে নিরাপদ অবস্থানে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে সেই কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করে তুলতে চায় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় সে কাজটা বেশ সফল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯৬/৩ ডি.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২০
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ১৫.৫ ওভারে ৫৪/২ (মারক্রাম ১৫, এলগার ১৮, আমলা ১৭*, বাভুমা ৩*; মিরাজ ০/১৫, শফিউল ১/১৮, মুস্তাফিজ ১/৭, তাসকিন ০/১৪)