দুর্নীতিতে বাঁধা দেয়ায় হামলার শিকার প্রকৌশলী

আপডেট: ২০১৫-১০-২৯ ২১:৩৬:১৫


norsingdi_88675রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করতে না দেয়ায় পৌরসভা কার্যালয়ে ঢুকে এক প্রকৌশলীকে পেটানো অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে মাধবদী পৌর ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার আমিনুল ইসলাম মাধবদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পৌরসভা। মনিরুজ্জামান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রত্না এন্ড রহমান ট্রেডার্সের মালিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

পৌরসভা সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধবদী পৌর শহরে বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব পায় মনিরুজ্জামান এবং মোশতাক আহমেদ এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের দাবি, রাস্তা নির্মাণের শুরু থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে আসছিল। এ ব্যাপারে তাদেরকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়। তবে, তারা তাতে কর্ণপাত করছিল না।

প্রধান প্রকৌশলী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মাধবদীর বিরামপুরের সৃজন টেক্সটাইল মিল হতে সেলিম মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণকাজ পরিদর্শন করতে যান। এ সময় রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে দেখে নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসেন।

এ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে প্রকৌশলীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে বেলা পৌনে ৪টায় জুয়েলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পৌর কার্যালয়ে প্রকৌশলীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমিনুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। তার অফিস কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

ঠিকাদার জুয়েল নির্মাণকাজে নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মাধবদী পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ইলিয়াছ বলেন, পৌর কার্যালয়ের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী এর বিচার হবে বলে তিনি জানান।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ