এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৫০ দশমিক ৮৯ ভাগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন দুজন ৯০ দশমিক ৫। সোমবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে এ ফল প্রকাশিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে ফল স্বল্পতম সময়ে পৌঁছে যাবে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানা যাবে।
অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৮২ হাজার ৭৮৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৮১৩ জন এবং পাস করেছেন ৪১ হাজার ১৩২ জন। পাসের হার ৫০ দশমিক ৮৯ ভাগ। তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার বেশি। এক্ষেত্রে প্রতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ফাঁকা থাকার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এ বছর তেমনটি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৮৫ হাজার ২০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছিল ২৯ হাজার ১৮৩ জন। বাকি ৫৬ হাজার ২৪ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৮৫।
এর আগে গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীসহ দেশের ২০টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৩৪টি কেন্দ্র্রে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০।
বর্তমানে ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৩১৮ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৬৯টি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ২৫০টি। এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, নাইমুল ইসলাম খান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ ছিলেন। তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফল প্রকাশ করা হয়।