৩২ বছর পর ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ হকি। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দেখতে টিকিটবিহীন গ্যালারিতে দর্শক সমাগম। শুরু থেকেই বাংলাদেশের সমর্থনে উল্লাস করল তারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের উল্লাসে ভাটা ভরেছে। কারণ, বাংলাদেশ যে ৭-০ গোলে হেরেছে পাকিস্তানের কাছে।
অবশ্য প্রথম কোয়ার্টারে (১৫ মিনিট) বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমানে সমান লড়াই করে। এই কোয়ার্টারে কেউ গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ১টি গোল করে পাকিস্তান। তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে ৩টি, ৩টি মোট ছয়টি গোল করে। তাতে ৭-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বুধবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টারের ৮ মিনিটের সময় মাঝ মাঠ থেকে পুস্কর ক্ষিসা মিমোকে পাস দেন জিমি। মিমো বল ধরতে পারেননি। বল ধরতে পারলে গোল হতে পারত। তাতে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথম কোয়ার্টার। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ১৮ মিনিটের সময় পেনাল্টি কর্নার পায় পাকিস্তান। পেনাল্টি কর্নার থেকে প্রথম গোল আদায় করে নেয় তারা। গোলটি করেন আবু মাহমুদ।
২৩ মিনিটের সময় গোলের দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এ সময় জিমির ক্রস ডি বক্সের মধ্যে মিলন মিস করেন। দ্বিতীয় ২৮ মিনিটে রাসেল মাহমুদ জিমি মাঝমাঠ থেকে বল একাই টেনে নিয়ে যান। ডি বক্সের সামনে গিয়ে শটও নেন। কিন্তু তার নেওয়া শট দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে ফিরে আসে। তাতে পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
বিরতির পর দারুণ ছন্দে ফিরে পাকিস্তান। উল্টোরথে বাংলাদেশ। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পায় পাকিস্তান। পিসি থেকে গোল আদায় করে নেন আহমেদ সাকিল বাট । পরের মিনিটেই হাসান আলীর শটে আরসলান মোহাম্মদ কাদির গোল করেন (৩-০)। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন আবু মাহমুদ। তাতে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৭ মিনিটে আহমেদ সাকিল বাট গোল করেন (৫-০)। ৫০ মিনিটে রশিদ মাহমুদ গোলের দেখা পেলে ব্যবধান হয় ৬-০। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মুহাম্মদ আরসলান কাদির গোল করে বাংলাদেশের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন।
১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। আর ১৫ অক্টোবর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে জাপানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে বাংলাদেশকে।