অতীতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সময় অস্থিতিশীলতার শঙ্কা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
বুধবার বিজিএমএইএ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এই শঙ্কার কথা জানিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে তার সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন।
কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে গিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের এই সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
তাদের বৈঠক নিয়ে বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “এদেশে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গতভাবেই ক্রেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ওই সময়ের অর্ডারগুলো দিতে পারেন।”
রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে বাংলাদেশের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতা চলে। ভোট আটকাতে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে পেট্রোল বোমা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সেই মতপার্থক্যের অবসান এখনও হয়নি।
রাষ্ট্রদূতের মুখে সেই সহিংসতার পুনরাবৃত্তির শঙ্কার বিষয়টি শুনে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সন্ত্রাস পছন্দ করে না। তিনি আশা করছেন যে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখন দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে বিজিএমইএ নেতারাও উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন।
সিদ্দিকুর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলোদেশের পোশাক রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমে যাওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের কাছে তুলে ধরেন।
এই অবস্থার উত্তরণে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো ও আধুনিকায়নের উপর জোর দেন বার্নিকাট।
সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের বলেন, “ক্রেতারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তাদের সোর্সিং কৌশলগতভাবে ঠিক করেন। তাই লিড টাইম বাংলোদেশের সক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”