ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। ভর্তির জন্য তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬১ জন শিক্ষার্থী। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকসহ প্রায় সব বিভাগের যোগ্য শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মনে করেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন এই ইউনিটের পরীক্ষা তাঁদের জন্য শেষ সুযোগ।
এ বছর ঘ ইউনিটে ১ হাজার ৬১০টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এই ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ হাজার ১৪৭টি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য ৪১০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৫৩টি আসন রয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় সব বিভাগে, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাড়া প্রায় সব বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন। আর কলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য যে ৫৩টি আসন রয়েছে, সেগুলো ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৯টি বিভাগ এবং গণিত ও পরিসংখ্যানে ভর্তি হওয়ার জন্য।
গত বছর ঘ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৭০ জন এবং ২০১৫ সালে ৬২ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ধারায় একটি বড় পরিবর্তন আসে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষে অনেকেরই বিজ্ঞানের কোনো বিষয় কিংবা প্রকৌশল বা মেডিকেলে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু সেসব বিষয়ে ভর্তির সুযোগ না হলে তাঁদের ঘ ইউনিটের মাধ্যমে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করতে হয়। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়ে থাকে।
ঘ ইউনিটে ১২০ নম্বরের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হয়। যাঁরা মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা পড়েননি, তাঁদের জন্য বাংলার পরিবর্তে প্রশ্নপত্রে উচ্চতর ইংরেজি অংশ থাকে। আর সাধারণ জ্ঞানের দুটি অংশে থাকে—বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি। আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে অনেকের ভবিষ্যৎ।
ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ক ইউনিট, কলা অনুষদের অধীন খ ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীন গ ইউনিট ও চারুকলা অনুষদের অধীন চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ক ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ছিলেন ৫০ জন পরীক্ষার্থী। প্রতি আসনের বিপরীতে খ ইউনিটে ১৩, গ ইউনিটে ২৩ জন করে প্রার্থী ছিলেন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় চ ইউনিটের পরীক্ষায়। এটি দুই ধাপে নেওয়া হয়। আসনসংখ্যা ১৩৫টি। প্রথম ধাপে সাধারণ জ্ঞান অংশের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৪৭৮ জন অংশ নেন। এর মধ্যে বাছাই করা ১ হাজার ৫৫২ জন অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আলাদা পরীক্ষা হয়।