বৃহস্পতিবার থেকে টানা বর্ষণে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবারও রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। শনিবার সকালে দেখা যায়, রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগে পড়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কর্মস্থলে যেতে গিয়ে যানবাহনের অভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায় অনেককে। তবে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যায়।
রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, শান্তিনগর, খিলগাঁও, গোড়ান, বাসাবো, কাকরাইল, মৌচাক, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, তেজকুনি পাড়া, তেজতুরী বাজার, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ সড়কই পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পানি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানির পরিমাণ ক্রমে বাড়ছে।
মিরপুর ১ নম্বর ছাপাখানার মোড় থেকে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের সড়কের একাংশও পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া কাজীপাড়া, সেনপাড়া, মিরপুর ১১ নম্বর কালশী রোডসহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, খুলনা, বরিশাল, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী দুইদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে দেওয়া তিন নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।