বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত। বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের চাওয়া, এ দেশে যেন গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদার জিয়ার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার রাতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
৪৫ মিনিটের আলোচনা শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়গুলো শুনেছেন। এরপর সুষমা স্বরাজ বলেছেন, বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, নির্বাচন কমিশন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে এবং তাতে যাতে সবাই অংশগ্রহণ করে; ভারত তেমনটাই চায়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, দলের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরে বলা হয়—এই সংকটের সমাধান দরকার। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া দরকার। এ ব্যাপার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও চাই রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে দেশে ফিরে যেতে পারে। এ জন্য ভারতের পক্ষ থেকে চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
তবে এবার সুষমা স্বরাজের সঙ্গে খালেদা জিয়ার একান্ত বৈঠক হয়নি। ২০১৪ সালে দুই নেত্রীর বৈঠকে ১০ মিনিট একান্তে বৈঠক হয়েছিল।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দীন আহমেদ ও রিয়াজ রহমান।
দুদিনের সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকায় এসেছেন। দুপুরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।