ছেলেকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। উৎপলকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সাধারণ পরিবার। কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছি। একটাই চাওয়া আমার ছেলেটা যাতে তার মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি ডট নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক উৎপল দাস (২৯) গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলে অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, গত ১০ অক্টোবর ২টার দিকে উৎপলের সঙ্গে তার মার কথা হয়। মাকে সে বলে মা আমি একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। এরপর সন্ধ্যার দিকে ওর মা আবার ওকে কল দেয়, মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওর মা ভাবলো হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত আছে। পরেরদিন আবার ফোন দিলে তখনও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে টানা এক সপ্তাহ চেষ্টা করেও তার মোবাইল খোলা পাওয়া যায়নি।
পরে ১৯ অক্টোবর রাতে উৎপলের বন্ধু সাংবাদিক রাজীব ও মুকুল তারা দুইজন আমাদের জানায় যে উৎপল নিখোঁজ। তখন আমার প্রেসার বেড়ে যায়, আমি অচেতন হয়ে পড়ি; আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। একটু সুস্থ হওয়ার পর ২৩ অক্টোবর ঢাকায় এসে আমি মতিঝিল থানায় জিডি করে নরসিংদী ফিরে আসি।
পরে দুটি নম্বর থেকে দুইবার উৎপলের মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা চাওয়া হয়। তবে টাকা দেয়ার আগে সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সংযোগ কেটে দিয়ে আর যোগাযোগ করেনি। সংবাদ সম্মেলনে উৎপলের বোন বিনীতা দাস কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমার মা উৎপলের খবর শোনার পর থেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই আমার ভাইটা যাতে সুস্থভাবে মায়ের কাছে ফিরে আসে।
উৎপলের কর্মস্থল পূর্বপশ্চিমের প্রধান সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্বপশ্চিমের সম্পাদক খুজিস্তা নূর ই নাহরীন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংবাদিক নেতারা এবং উৎপলের মা, ভাই ও বোনেরা।