কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনোয়ার হোসেন (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
নিহত যুবক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নগর শাওতা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার জয়নাবাজ এলাকায় গড়াই নদীর পাড়ে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ওসি আবদুল খালেক বলেন, নিহত আনোয়ার প্রবাসী রাকিবুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
আনোয়ারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাঁধবাজার এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এরপর তার নিজ বাড়ি থেকে রাকিবুল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দড়ি, রক্তমাখা গেঞ্জি ও বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান ওসি।
এ পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, আনোয়ারকে রাতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি রাকিবুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিরা জয়নাবাজ এলাকায় অবস্থান করছে বলেও জানান তিনি।
এরপর আনোয়ারকে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে জয়নাবাজের গড়াই নদীর পাড়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শুরু হয়। এর একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে বলে দাবি ওসি আবদুল খালেকের।
তিনি জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় আনোয়ার হোসেন গুলিবিদ্ধ হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুমারখালী থানার এসআই রাজিব আল রশিদ, এএসআই জিহাদ আলী এবং কনস্টেবল পরাগ বুলবুল ও ফিরোজ হোসেন আহত হয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।