ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও অপরটিতে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার পৃথক আদালতে বিচারক মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। সকালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির। তাদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, পরের চারজন জামিনে ও শেষের তিনজন পলাতক রয়েছেন। রায়ে হোমায়েন কবিরকে খালাস দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্য রাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে। হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুটি চার্জশিটে আসামিরা একই।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।