১০ মাসেই বিচ্ছেদ ইমরান-রেহামের
আপডেট: ২০১৫-১০-৩০ ১৬:৪৭:৪৮
দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের। টেলিভিশন সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ের মাত্র ১০ মাস পরই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
গত জানুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল ইমরান ও রেহাম খানের। ইসলামাবাদে ইমরানের বাড়িতে বিয়েটা হয়েছিল এক সাদামাটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, তেমন জাঁকজমক ছাড়াই। কিন্তু এক বছর পুরো হওয়ার আগেই বিচ্ছেদ ঘটতে চলেছে এই দম্পতির। শুক্রবার টুইটারের মাধ্যমে রেহাম জানিয়েছেন, ‘আমরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর ডিভোর্সের জন্য আবেদনও করেছি।’ তথ্যটা নিশ্চিত করে ইমরানের মুখপাত্র নাঈম-উল হক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘তাঁরা আজ (শুক্রবার) পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে ডিভোর্সের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। দুঃখজনক হলেও এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই আমি এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারব না বা কোনো কারণও জানাতে পারব না।’
তিন সন্তানের জননী, ৪২ বছর বয়সী রেহাম ছিলেন বিবিসির আবহাওয়াবিষয়ক অনুষ্ঠানের সাবেক সঞ্চালক। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোর উপস্থাপনাও করতেন তিনি। ইমরানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সমাবেশ ও বৈঠকে উপস্থিত হওয়ায় অনেকবার সমালোচিত
হতে হয়েছিল রেহামকে। পাকিস্তানের অনেকের ধারণা, ইমরানের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সবচেয়ে বেশি বিরূপ অভ্যর্থনা পেয়েছেন রেহাম। এই প্রদেশের শাসনের ভার আবার তেহরিক-ই-ইনসাফের ওপরে। রেহামকে নিয়ে বিতর্কও অবশ্য কম নয়। যে কলেজে পড়াশোনা করার দাবি করেছিলেন, সেই কলেজে আসলে তিনি পড়েননি। খবরটা প্রকাশিত হওয়ার পর ভীষণ সমালোচিত হয়েছিলেন রেহাম। ইমরানের পরিবারের সদস্যরাও নাকি এই বিয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না।
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ নাগরিক জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে লাহোরে বসবাস শুরু করেছিলেন জেমাইমা। কিন্তু ইহুদি পরিবারে জন্ম হওয়ায় পাকিস্তানের মানুষ তাঁকে তেমন পছন্দ করতে পারেননি। ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয় ইমরান আর জেমাইমার। প্রথম বিয়ে থেকে ইমরান দুই ছেলের জনক।