রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামীকাল বুধবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছে। এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী সাইমন হ্যানশো। প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে আসছে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের মানবিক ও মানবাধিকারের সংকট নিয়ে উদ্বেগ নিরসনে আলোচনা করবে। প্রতিনিধি দলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারবিষয়ক ব্যুরোর উপসহকারী মন্ত্রী স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী মন্ত্রী টম ভাজদা এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক প্যাট্রিসিয়া মাহনি রয়েছেন। প্রতিনিধি দলটি চলমান সংকটের বিষয়ে এবং তার স্থায়ী সমাধানের উপায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবে।
মিয়ানমারে প্রতিনিধি দলটি কূটনৈতিক সম্প্রদায়, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক ও এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করবে। সহিংসতায় আক্রান্ত মানুষের সুরক্ষার উন্নয়ন করবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর ব্যাপারে জবাবদিহিতার প্রশ্নও আলোচিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা বাধাহীনভাবে দেয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। যেসব লোক স্বেচ্ছায় রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাবে তাদের সুরক্ষা ও মর্যাদার পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, দাতাগোষ্ঠী ও মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এসব আলোচনায় বিপুলসংখ্যক শরণার্থী বাংলাদেশে আসার পর তাদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় দিক নিয়ে আলোচনা হবে। প্রতিনিধি দলটি আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাদের পালিয়ে আসার ঘটনা সম্পর্কে জানতে কক্সবাজার সফরে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলছে সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে।
বেসরকারি সংস্থার ত্রাণ বিতরণ : সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা ‘ঘরনী’র সহযোগিতায় হিউম্যান নেসেসিটি ফাউন্ডেশন (এইচএনএফ)-ওয়াল্ডওয়াইডের অনুদানে সম্প্রতি কক্সবাজারে ২০০০ রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবারকে লুঙ্গি, থামি, কম্বল, মশারি, মাদুর, প্লেট, গ্লাস, জগ, বাটি, কলস ও বদনা দেয়া হয়। ত্রাণ বিতরণ করেন ঘরনীর নির্বাহী পরিচালক রওশন আরা রেখা, উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, এইচএনএফের প্রতিনিধি রেজাউল করিম, উম্মে নাইরী খালেদা ও স্বেচ্ছাসেবকরা।