বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৩০ তম অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস ২০১৭ সালের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় গত বছরের চেয়ে ছয়ধাপ এগিয়ে এসেছেন তিনি। ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় গত বছর ৩৬ এবং ২০১৫ সালে ৫৯তম অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা।
ফোর্বসের ওয়েবসাইটে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিপরীত হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে ‘লেডি অব ঢাকা’ আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে তাদের আশ্রয়ের জন্য দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি
মার্কিন এই সাময়িকী বলছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছিল। নিজ দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ও তাদের খরচ বহন করতে পেরে শেখ হাসিনা গর্বিত। শনাক্তের জন্য রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্ড ও শিশুদের টিকা দিচ্ছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল শীর্ষ স্থানে আছেন। তবে এবার অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার মতো জটিল ও ঐতিহাসিক যাত্রা ‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়ায় দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
মে’র পরেই আছেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস (তৃতীয়)। ফোর্বস বলছে, বিশ্বের শতাধিক দেশে এই সংস্থাটির মাধ্যমে তিনি প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ আছেন চতুর্থ স্থানে, জেনারেল মোটরসের (জিএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ম্যারি তেরেসা বারা আছেন (পঞ্চম স্থানে) রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও মানবসেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বের আসনে থাকা বিশ্বের ২৯টি দেশ থেকে ১০০ ক্ষমতাধর নারীর এই তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস।