ঢাকা শহরের খালগুলো দখলমুক্ত করতে পারলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর চানখাঁরপুলে নাজিমউদ্দিন রোডের সংস্কার, বৃষ্টির পানি অপসারণে নালা নির্মাণ ও পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থার উন্নয়নকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরে মাত্র ছয়টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে পুরান ঢাকার অনেক খাল হারিয়ে গেছে, অস্তিত্বও নেই। কিন্তু শহরে জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ খালগুলো দখল হয়ে যাওয়া। এই খালগুলো উদ্ধার করতে না পারলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে না। তাই জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কামরাঙ্গীরচর-কালুনগর খাল দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। এটা প্রতিদিন চলবে। এ কাজে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সব খাল উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ জন্য নাগরিকদের সহায়তা দরকার। নগরবাসী পাশে থাকলে একটি একটি করে সব খাল উদ্ধার করা হবে।
ডিএসসিসির ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান প্রকৌশলী ফরাজী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর শফিকুল আলম, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে চানখাঁরপুলে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা সমস্যার কথা শোনেন। এ সময় বকশীবাজারের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান খান বলেন, বকশীবাজার থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এতে বেশি বৃষ্টি হলে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন আগে টানা দুই দিনের বৃষ্টির পানি সরতে তিন দিন সময় লেগেছে।
এমন অভিযোগের পর তা দ্রুত সমাধানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন সাঈদ খোকন। এ সময় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর শফিকুল আলম বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে কাজ শুরু করা হবে।
বকশীবাজার এলাকার কয়েকটি গলিতে পানি না থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা মো. মাঈনুদ্দিন। এ সময় মঞ্চে থাকা ওয়াসার প্রতিনিধির কাছে এই এলাকায় পানি না থাকার কারণ জানতে চান মেয়র। ওয়াসার এই প্রতিনিধি জানান, বকশীবাজারে ওয়াসার পাম্পের উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। এ কারণে পানিসংকট তৈরি হয়েছে। তবে পাম্পের জন্য পৃথক আরেকটি জায়গা দিতে পারলে আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানে পাম্প বসানোর কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান তিনি।
জয়নাগ রোডে গ্যাসসংকটের অভিযোগ করেন মো. হেলাল উদ্দিন নামে একজন বাসিন্দা। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে বেলা তিনটা এবং সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই এলাকায় গ্যাস থাকে না। মেয়র সাঈদ খোকন মঞ্চে থাকা তিতাস গ্যাসের প্রতিনিধিকে এ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে বলেন।