সবজির দাম কমেছে, বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির
প্রকাশ: ২০১৫-১০-৩০ ১৮:১০:৪১
শীত আসে আসে করছে। তার বড় প্রমাণ মেলে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। শীতকালীন সবজিতে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। প্রতিদিনই এর পরিমান বাড়ছে। যদিও গত সপ্তাহ পর্যন্ত দামে তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি এটি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার দাম কিছুটা কমে এসেছে। সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও কমতির দিকে। তবে হঠাত্ কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো ও শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর শীতকালীন সবজি এসেছে বাজারে। দামও তুলনামূলক কমেছে। শিমের কেজি এক সপ্তাহ আগেও ১১০ থেকে ১২০ টাকা ছিল। শুক্রবার তা বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। টমেটো সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ৭০-৮০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া বাজারে বরবটি ৬০-৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকা, কাকরোল ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৪০-৪৫ টাকা, মূলা ৪০-৫০, করলা ৬০-৬৫ টাকা, কচুর লতি ও কচুমুখি ৪০-৫০, শসা ৩০-৪০, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা এবং আলু ২৬-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম নেয়া হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা।
পুইশাকের প্রতি আটি ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ২৫-৩০ টাকা, লাল শাক ১০-১২, মুলা শাক ৭-১০, কলমি শাক ১০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪৫-৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, পাতাকপি ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচাকলার হালি ২৫-৩০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম ধনে পাতা ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। শুক্রবার তা বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা। এদিকে চীনা রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এবং এক কেজি আদার দাম নেয়া হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা।
এদিকে হঠাত্ করেই বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত দুই তিন সপ্তাহ ধরেই কমছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। সর্বশেষ গত সপ্তাহে এটি বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু হঠাত্ তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের আমেজে বিয়ে-সাদী, পিকনিকসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে মুরগির ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে বলে তারা দাবি করছেন। তবে ডিমের দাম আগের মতোই রয়েছে। খামারের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা হালি দরে। এদিকে গরুর মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসীর মাংস ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য মাছেরও দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি মাঝারি রুই ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, বড় দেশি রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০, আমদানি করা বড় রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চাষের কৈ ১৮০-২৫০ টাকা, ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ৮০০-১০০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়ার দাম নেয়া হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
এদিকে বোতলজাত ভোজ্যতেলে দাম না বাড়লেও খোলা তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা এবং পামঅলিন সুপার বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। তবে চাল, ডাল, চিনি, লবণসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে তেমন কোন পার্থক্য চোখে পড়েনি।