নানান বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনার মুখে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিসিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিসিবি কার্যালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা পড়ে। তবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। এর আগেও বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। গেল বছরের অক্টোবরেও বিসিবিকে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে তার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
তবে এবার মূলত নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মধ্যে শ্রীলংকা জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে থাকতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে- দল পরিচালনা, একাদশ নির্বাচন এবং মাঠের খেলা পরিচালনাতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন হাথুরু।
এসব বন্ধে চেষ্টা চালালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে হয় নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে। এরপর দল নিজের মতোই পরিচালনা শুরু করেন কোচ হাথুরু। অধিনায়কের মতামত টুকটাক কানে নিলেও একাদশ নির্বাচনে কোচেরই ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য।
এ নিয়ে অধিনায়ক ও অন্য সিনিয়র অফিসিয়ালদের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় সমস্যা হয় হাথুরুসিংহের। আর এসবের খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। কোচের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির ফলেই অনেক ক্ষেত্রে দল সাফল্য পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিলেন হাথুরুসিংহে। এখন দেখার বিষয় বিসিবি কী সিদ্ধান্ত নেয়।
২০১৪ সালের মে মাসে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী সময়ে তার অধীনে বাংলাদেশ দারুণ পারফর্ম করতে থাকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলেছে প্রথমবার। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ দল। এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে।
৪৯ বছরের হাথুরুসিংহের সঙ্গে বিসিবি চুক্তি নবায়ন করেছিল এক বছর আগেই। চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেট টিমের সঙ্গে থাকার কথা ছিল তার।