জিম্বাবুয়ের সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে রাজধানী হারারেতে 'গৃহবন্দি' করার ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এ খবর জানিয়েছেন। সামরিক বাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের কথা স্বীকার করলেও অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করেছে।
জুমা জানিয়েছেন, মুগাবে টেলিফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন।
সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন দখল করার পর রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে। তারা 'দুর্বৃত্ত'দের ধরার চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে এএফপির খবরে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে সরাসরি পঠিত এক বিবৃতিতে বুধবার জিম্বাবুয়ের সেনা কর্মকর্তারা অভ্যুত্থানের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট মুগাবেকে ঘিরে থাকা অপরাধী চক্র।
একজন জেনারেল বলেন, এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেয়া নয়। আমরা জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবার নিরাপদ ও ভালো আছে। তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমাদের লক্ষ্য কেবল প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকা অপরাধী চক্র, যারা অপরাধ ঘটিয়ে চলছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আমাদের অভিযান শেষ করবো এবং আশা করছি তখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
জিম্বাবুয়েতে গত কয়েকদিন ধরেই ৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার রাজধানী হারারের কাছাকাছি সাঁজোয়া যানের উপস্থিতি দেখে ব্যাপক আশংকা তৈরি হয়। মুগাবের অবস্থান এবং ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটির ক্ষমতা এখন কার হাতে এসব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
এদিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, বুধবার সকালের দিকে মুগাবের বাসস্থানের কাছ থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এর বেশি আর কিছু জানা যায়নি।
সম্প্রতি দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কন্সটানটিনো চিওয়েঙ্গা ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাগাওয়াসহ দলের সিনিয়র নেতাদের বহিস্কার করার বিষয়টি বন্ধের জন্যে মুগাবের প্রতি দাবি জানান। মুগাবে গত সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাগাওয়াকে বরখাস্ত করেন। মঙ্গলবার মুগাবে’র জানু-পিএফ পার্টি সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ করেন।