উত্তর কোরিয়া গোপনে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) বানাচ্ছে। দেশটির পরমাণু কার্যক্রমের ওপর পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘৩৮ নর্থ’ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া নতুন কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে এমন দাবি করেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি হবে তাদের এ ধরনের প্রথম সাবমেরিন। দ্রুততার সাথে এর নির্মাণকাজ চলছে।
স্যাটেলাইটের এসব ছবি মনে করিয়ে দিচ্ছে, উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে একদিকে ভূমি থেকে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) তৈরির চেষ্টা করছে, অন্য দিকে তারা সাবমেরিন থেকে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজও করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়া প্রোটোটাইপ সাবমেরিন তৈরি করেছে, যার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা ব্যবহার করে তারা কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সিনপো শিপইয়ার্ডে রাখা সাবমেরিনটির সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে।
৩৮ নর্থ গ্রুপের বিশ্লেষকেরা দাবি করেছেন, স্যাটেলাইটের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও উৎক্ষেপণে সক্ষম আরো একটি সাবমেরিন বানাচ্ছে তারা। তবে এ বিষয়ে পিয়ংইয়ং কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালজুড়ে ওই শিপইয়ার্ডে কাজ চলছে। বড় বড় জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানো হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী রাখার বড় হলরুম থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বের করা হচ্ছে। ৩৮ নর্থ-এর বিশ্লেষকেরা দাবি করছেন, বড় কোনো জাহাজ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ এটি।
ভূমি থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে বিষয়টি প্রাধান্য বিস্তার করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এশিয়া সফরে ইস্যুটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম সাবমেরিন তৈরির খবর এই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।