ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সদস্য লেখক সম্মাননা-২০১৭ প্রদান করেছে। চলতি বছর প্রকাশিত সৃজনশীল, মননশীল, শিশুসাহিত্য ও গবেষণামূলক বইয়ের জন্য সংগঠনের ৪৩জন সদস্য লেখককে এ সম্মাননা দেয়া হয়। শুক্রবার বিকালে ডিআরইউ’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একুশে পদকে ভূষিত জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি জনাব সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। স্বাগত বক্তব্য দেন ‘সদস্য লেখক সম্মাননা-২০১৭’ কমিটির আহ্বায়ক কাফি কামাল। ডিআরইউর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাফি কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, সদস্য লেখক শামসুল আলম বেলাল, চপল বাশার, হাসান হাফিজ, অজিত কুমার সরকার, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও অর্থ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকে ভূষিত জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, সাংবাদিকতায় মূলতঃ পাঁচটি ‘নি’ অপরিহার্য। সেগুলো হচ্ছেÑ নিখুঁত, নির্মেদ, নিঃশঙ্ক, নির্লিপ্ত ও নিরপেক্ষ। আর চলমান বাস্তবতা জানার জন্য প্রয়োজন সংঘটিত আসল তথ্য এবং ভবিষ্যতের নতুন বাস্তবতা সংঘটনের জন্য তথ্যের বিশ্লেষন ও সৃষ্টিশীল নবায়ন। তিনি বলেন, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা একটি অন্যটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলা সাহিত্যের দিকপালদের অনেকেই খ্যাতনামা সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকদের হাতেই রচিত হয়েছে বিশ^সাহিত্যের অনেক উজ্জ্বল সৃষ্টি। পুরস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, পুরস্কারের মর্যাদা নিরূপনে অর্থই সবসময় মানদ- নয়, বিচার প্রক্রিয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডিআরইউর এ উদ্যোগ সংগঠনের সদস্যদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করবে। ডিআরইউর সদস্য লেখকদের মধ্যেই অনেকে হয়ে উঠবেন সমকালীন সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিক।
সভাপতির বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ডিআরইউর সদস্যদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতাকে উৎসাহিত করতেই এ আয়োজন। আগামীতে সুনির্দিষ্ট নিয়মে জুরি বোর্ড গঠন করে বিচারের মাধ্যমে সৃজনশীল, মননশীল ও শিশু সাহিত্য তিন ক্যাটাগরিতে তিনজনকে ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও অন্য সদস্য লেখকদের সম্মাননা দেয়া যেতে পারে। এতে পুরস্কারের মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি পাবে, সেই সঙ্গে সদস্য লেখকরাও উৎসাহিত হবেন।
বাসসের শামসুল আলম বেলাল, চপল বাশার, হালিম আজাদ, অজিত কুমার সরকার, মুহম্মদ আবদুল বাতেন, পাক্ষিক অনন্যার হাসান হাফিজ, সমকালের মুস্তাফিজ শফি ও ইন্দ্রজিৎ সরকার, প্রথম আলোর মাসুদ আলম, চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান ও মোস্তফা মল্লিক, চ্যানেল ২৪ আমীন আল রশীদ, ইত্তেফাকের পিনাকি দাসগুপ্ত, বাংলাভিশনের মোস্তফা কামাল, জিয়াউল হক সবুজ ও ইমরুল কায়েস, জনকণ্ঠের তৌহিদুর রহমান, রাইজিং বিডির উদয় হাকিম, এবি নিউজ ২৪ বিডি.কম শাহীন চৌধুরী, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রেজাউল কারীম, সারাবাংলা.নেট-এর মেসবাহ শিমুল, শেয়ার বিজের মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ ও জাকারিয়া পলাশ, ভোরের কাগজের শামসুজ্জামান শামস ও ঝর্ণা মনি, প্রিয় দেশ নিউজের রকিবুল ইসলাম মুকুল, পিটিবি নিউজ ডটকম-এর আশীষ কুমার দে, মাই টিভি আমিরুল মোমেনীন মানিক, নিউজ প্রেস বিডির আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মানিক মুনতাসির, অবজারভারের জীবন ইসলাম, সংগ্রামের শাহেদ মতিউর রহমান ও মিয়া হোসেন, দিগন্ত টিভির জিয়াউল কবির সুমন, আমাদের অর্থনীতির জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না, ঢাকা টাইমসের হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, উত্তরবঙ্গ সংবাদের নির্মল চক্রবর্তী, আরটিভির মাইদুর রহমান রুবেল, বাংলা ট্রিবিউনের নুরুজ্জামান লাবু, ইনকিলাবের রফিক মুহাম্মদ, নতুন সংবাদের এম. উমর ফারুক, মানবকন্ঠের আসাদ জোবায়ের ও আমাদের সময়ের এম এইচ রবিন। লেখক সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও তিন হাজার টাকা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউর সহ সভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জিলানী মিলটন, দপ্তর সম্পাদক নয়ন মুরাদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য নূরুল ইসলাম হাসিব, হাবীবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সুমন, মাইনুল হাসান সোহেল, হাফিজ আল আসাদ (সাঈদ খান) ও মো. আনিসুল ইসলাম।