খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিসংক্রান্ত বক্তব্য বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৌদিতে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিশাল শপিংমল ও সম্পদ পাওয়ার খবর বিদেশ থেকে এসেছে। টাকা পাচার, মানিলন্ডারিং বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার ছেলেরা করেছে।
এসব বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছুড়বেন না। বেআইনি মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ করুন এবং এই মানহানিকর মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা বাধ্য হব।
ফখরুল বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কল্পিত পাচারকৃত সম্পদ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির এসব কল্পকাহিনির মূল উদ্দেশ্য খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা এবং রাজনৈতিকভাবে জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা।
অবিলম্বে এ ধরনের মানহানিকর মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ভবিষ্যতে এ ধরনের অশালীন, রুচিবিবর্জিত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত মিথ্যা বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকতে আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানান ফখরুল।
অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।