শুরু হয়ে গেছে শীত। শুরু হয়েছে শীতের প্রস্তুতিও। ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস নিয়ে প্রস্তুত দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। এবারের শীতে হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের সিংহভাগ চাহিদা পূরণের টার্গেট নিয়েছে মার্সেল। সেই লক্ষ্যে উৎপাদন, মজুদ ব্যবস্থাপনা ও বিপণনে নিয়েছে সময়োপযোগি কর্মপরিকল্পনা। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত করেছে নতুন নতুন মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন বাজারে রয়েছে মার্সেলের প্রায় ৩০ মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। এর মধ্যে আছে ১০ মডেলের রাইস কুকার; ৫ মডেলের ব্লেন্ডার; ৪ মডেলের আয়রন বা ইস্ত্রি; ৩টি করে ইলেকট্রিক কেটলি এবং রুম হিটার; ১টি মডেলের ইন্ডাকশন কুকার ইত্যাদি। মার্সেলের শক্তিশালী আরএন্ডডি (পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা) টিমের প্রকৌশলীরা গ্রাহকদের রুচি, চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী এসব পণ্যের ডিজাইন তৈরি করেছে। পণ্যের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করছে জিরো টলারেন্স নীতি।
বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চাহিদা মোকাবেলায় আউটলেটগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন মডেলের পণ্য। এর মধ্যে রয়েছে রাইস কুকার, ইন্ডাকশন কুকার, রুম হিটার, ওয়াটার হিটার বা গিজার, ওয়াশিং মেশিন, আয়রনসহ বিভিন্ন ধরণের গৃহস্থালি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস।
তারা আরো জানান, শীতে বাসাবাড়িতে গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়। আর তাই রান্না-বান্নার কাজকে সহজ করতে মার্সেল বাজারে ছেড়েছে ইন্ডাকশন কুকার। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় ইন্ডাকশন কুকারে।
হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রেতারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশব্যাপী রুম হিটার, রাইস কুকার, ইন্ডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, ইলেকট্রিক কেটলিসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জীবনযাত্রার মানোয়ন্নোয়ন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি, সাশ্রয়ী মূল্যে সহজে ব্যবহার উপযোগি অসংখ্য হোম অ্যপ্লায়েন্সেসের সহজলভ্যতাকেই চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে যুক্তি দেখিয়েছেন তারা। তবে মানের দিক থেকে উন্নত, দামে সাশ্রয়ী ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চতা পাওয়ায় বিদেশী ব্র্যান্ডের তুলনায় দেশীয় ব্র্যান্ডের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।
মার্সেল সূত্রমতে, ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে অক্টোবর সময়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে। এবারের শীতে গতবারের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মার্সেল।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, দেশে তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এ্যাপ্লায়েন্সের দাম কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে প্রযুক্তি পণ্যের ছোঁয়া লেগেছে। দিন দিন এসব পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ছে। এই বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনা করেই মার্সেল বাজারে নিয়ে আনছে নতুন নতুন মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস।
তিনি আরো বলেন, এবছর মার্সেল ব্র্যান্ডের সকল পণ্যের বিক্রি বেড়েছে অনেক। বিশেষ করে, হোম এ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা শীতকালে বৃদ্ধি পায়। আর এই বাড়তি চাহিদা পূরণে বেশ কিছু নতুন মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে ছাড়া হয়েছে। এবারের শীতে গতবারের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে।
বিপণন বিভাগের আরেক প্রধান (দক্ষিণ) ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করায় গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে মার্সেল। তিনি আশা করেন, গ্রাহকদের চাহিদা ও ক্রয় সক্ষমতা অনুযায়ী মান সম্পন্ন পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে মার্সেল।
উল্লেখ্য, মার্সেলের রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী সারা দেশে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাজ করছেন।