দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও সরকারের ভূমিকা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা কথা হয়েছে বলে জানান ফখরুল ইসলাম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি কেমন চলছে, আসন্ন নির্বাচনে কী অবস্থা দাঁড়াবে এবং নির্বাচনে বিএনপির ভূমিকা কী থাকবে—এসবের পাশাপাশি বর্তমানে সরকারের ভূমিকা কেমন আছে এবং দেশ কেমন চলছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার কী ভূমিকা পালন করছে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। এসব বিষয় ছাড়া তুরস্কের সঙ্গে পারস্পরিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্ক মনে করে, রোহিঙ্গাদের সসম্মানে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়টির পুরোপুরিভাবে একটি স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করে তুরস্ক। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে তুরস্ক যোগাযোগ রক্ষা করছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, সে সমস্যাগুলোর সরেজমিনে দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের কীভাবে তাদের নিজ দেশে সম্মানের সঙ্গে, নিরাপত্তার সঙ্গে ফেরত পাঠানো যায়—সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই তুরস্কের জনগণ রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। রোহিঙ্গারা যেন তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য তুরস্ক প্রথম থেকে কাজ করছে। এ কারণে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং তারপর বিষয়টি গোটা বিশ্বে নাড়া দিয়েছে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেছে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করে। এ বিষয়ে তুরস্কের মতামত কী, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেম—এই প্রশ্নে তুরস্ক সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে রয়েছে। সে অনুসারে তুরস্ক কাজ করছে।
বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, ইনামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।