মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান:
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে তৈরি পোশাক কারখানা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ভয়াবহ এ দূর্ঘটনায় বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। বিদেশে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলতে থাকে। এমনকি কয়েকটি দেশের ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয় বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। বাতিল করা হয় বহু ক্রয় অর্ডার। এরপর বাংলাদেশ হারানো গৌরব ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ তথা পোশাক শিল্পের ইমেজ ফেরাতে সরকার তথা এ খাত সংশ্লিষ্টরা কঠোর পরিশ্রম এবং বিভিন্নভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেন। নানামূখি পদক্ষেপে অল্প সময়ের মধ্যে সফলতা দেখা দেয়। বাংলদেশের পোশাক শিল্পের জন্য আশির্বাদ হয়ে আসে আমেরিকা ও ইউরোপের অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ড নামের দু’টি পোশাক ক্রেতা জোট।
তাজরীন ফ্যাশন্সে অগ্নি দুর্ঘটনা এবং রানাপ্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের নভেম্বরে গঠিত হয় পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়কারী ২৯টি ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে আমেরিকাভিত্তিক পোশাক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশ। এরও আগে একই বছরের মে মাসে গঠিত হয় ইউরোপীয় ক্রেতাদের ২০০টিরও বেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের জন্য গঠিত হওয়া উভয় জোটের অধীনে দুই হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠান দু’টি কারখানাগুলোর সংস্কারকাজ তদারকি করছে। ২০১৮ সালের মে মাসে অ্যাকর্ড এবং নভেম্বরে অ্যালায়েন্সের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
অ্যালায়েন্স: বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের সদস্য পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৮৫টি। এর মধ্যে সচল আছে ৬৫৮টি। তাদের মধ্যে ২৩৪টি কারখানা অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামোগত সব ধরনের ত্রুটি সংশোধন কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী শেষ করেছে। তবে সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ১৬২টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। কারখানা সংস্কারে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়া এবং অ্যালায়েন্সকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যালায়েন্স। এ জন্য পোশাক কারখানাগুলো জোটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ওয়ালমার্ট, টার্গেট, গ্যাপ, জেসিপ্যানিসহ ২৯ ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ পাচ্ছে না।
অ্যালায়েন্সের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ জোটের সদস্য কারখানাগুলো ৮৫ শতাংশ ত্রুটি সংশোধন শেষ করেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মেরামতকাজ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, অ্যালায়েন্সের ৬৫৮টি সদস্য কারখানায় কাজ করেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৬৬ পোশাকশ্রমিক। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশকেই প্রাথমিক অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রায় ২৭ হাজার নিরাপত্তাকর্মীকে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে অ্যালায়েন্স। এ ছাড়া শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই হেল্পলাইনে নিজেদের সমস্যা ও অভিযোগ জানাতে পারছেন তারা।
এ ব্যাপারে অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, ২০১৩ সালে অ্যালায়েন্স কাজ শুরু করে। সেই সময়ের তুলনায় পোশাক কারখানাগুলো আজ অনেক বেশি নিরাপদ। কারখানা মালিকেরা যে কঠোর পরিশ্রম করছেন, তার সুফল তারা এখন পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, কারখানাগুলো যে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী বছর অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। কার্যক্রম যথাযথভাবে স্থানান্তরের জন্য মেয়াদ শেষে অল্প কিছু সময় লাগতে পারে। তবে এ জন্য ২০১৮ সাল-পরবর্তী সময়ে থাকার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যেই দায়িত্ব নিক না কেন, তাকে অবশ্যই স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
অ্যাকর্ড: ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জোট অ্যাকর্ডের আওতাভুক্ত কারখানার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এর মধ্যে ৯৪৬টি কারখানায় আগুন চিহ্নিত করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আগুন লাগলে সতর্ক করার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ফায়ার অ্যালার্মের ব্যবস্থাও নেই এসব কারখানায়। অ্যাকর্ডের পর্যবেক্ষণে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৩৭৮টি কারখানায় এ ধরণের সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩২টি বা ৩১ শতাংশ কারখানা আগুন চিহ্নিত করা ও ফায়ার অ্যালার্মের যন্ত্রপাতিসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি প্রায় ৬৯ শতাংশ কারখানায় এখনো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই।
অ্যাকর্ডে এমন পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নন মালিকপক্ষ। এ ব্যাপারে বিজিএমইএর একজন সিনিয়র নেতা বলেন, বাস্তবতা হলো অ্যাকর্ডভুক্ত ৯০ শতাংশ কারখানায় আগুন চিহ্নিত করার এই যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। হয়তো সবাই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করেনি। ফলে অ্যাকর্ডের সনদও পায়নি। তিনি বলেন, একটি কারখানা আগুন চিহ্নিত করার এ ব্যবস্থা ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন করার পরও শতভাগ হয়নি বলা যায়। সেই বিবেচনায় অ্যাকর্ড হয়তো ৯৪৬টি কারখানার এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। তবে আগামী মে নাগাদ অ্যাকর্ডের সময়সীমার মধ্যে পুরো ব্যবস্থাটি ঠিক হয়ে যাবে।
অ্যাকর্ডের প্রতিবেদন দেখা যায়, আগুন লাগলে শ্রমিকদের দ্রুত বেরিয়ে আসার ব্যবস্থায় চমৎকার অগ্রগতি হয়েছে। এক হাজার ৩৯৩টি কারখানার মধ্যে ৯৪ শতাংশ কারখানাই কলাপসিবল গেট সরিয়ে নিয়েছে। ৭২টি কারখানা এক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত কারখানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আলো থাকার বিষয়েও অগ্রগতি হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় দেড় হাজার কারখানায় যে সব ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে, তার প্রায় ৮০ শতাংশ সংস্কারকাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১২০টি কারখানা সব ধরণের সংস্কার সম্পন্ন করে অ্যাকর্ডের সনদও পেয়েছে। একই সময়ে সংস্কারকাজে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় ৮৩ কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে অ্যাকর্ড। এসব কারখানা অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২০০টিরও বেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ পাবে না।
জানা যায়, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন বা সংস্কারকাজ সমন্বয় সেল (আরসিসি)। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) একটি প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনার (এনটিএপি) অধীনে পরিচালিত হবে আরসিসি। মোদ্দা কথা, এটি বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স সারা জীবন বাংলাদেশে থাকবে না। তাদের কার্যক্রম ধারাবাহিক রাখতে সরকারের একটি প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে। সে লক্ষ্যে আরসিসি গঠিত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরসিসি দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবে বলে আশা করছি।
অ্যাকর্ড তাদের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিলে গত অক্টোবরে সরকার ও বিজিএমইএর সঙ্গে অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জোটের মেয়াদ নতুন করে তিন বছর বাড়ছে না। তবে অ্যাকর্ডে দায়িত্ব বুঝে নিতে আরসিসিকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। না হলে ছয় মাস করে সময় বাড়বে। কিন্তু আরসিসিকে কী ধরনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি। অ্যাকর্ড কমিটি বিজিএমইএর নেতাদের বলেছেন, কেবলমাত্র স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য সংস্থার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চান তারা।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে বর্তমান মেয়াদ শেষে অন্তরবর্তীকালীন অ্যাকর্ড হবে। তার মানে সময় বাড়লেও জোটের পুরোনো নিয়মকানুনই প্রযোজ্য হবে।
এ ব্যাপারে অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ক্রিস্টি হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশ যত দিন না অ্যাকর্ডের দায়িত্ব বুঝে নিতে প্রস্তুত হবে, তত দিন সম্মত হওয়া শর্তাবলির ভিত্তিতে ‘২০১৮ অ্যাকর্ড’-এর কার্যক্রম চলবে। সেটি হলে পোশাক খাতের সরবরাহ ব্যবস্থায় থাকা সুতা, বস্ত্র, সরঞ্জাম ও মোড়কীকরণ পণ্য উৎপাদনের কারখানা পরিদর্শন ও কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার বিষয়টি তদারকি করার অধিকার পাবে জোট।
বিশেষজ্ঞরা জানান, রানা প্লাজা ধসের পর দেশের পোশাকশিল্প নিয়ে বিদেশে নেতিবাচক কথাবার্তা প্রচারিত হয়। তখন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের পরিদর্শনে অংশ ও তাদের প্রেসক্রিপশন মেনে সংস্কারকাজ করে কারখানাগুলো নিরাপদ কারখানার সনদ পায়। দুর্ঘটনাও কমেছে। ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠছে যা পোশাক শিল্পের জন্য আশির্বাদ। অর্জনটি ধরে রাখতে হলে শক্ত তদারকি ব্যবস্থা দরকার।
তারা বলেন, যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে উভয় জোটের দায়িত্ব নেওয়া হবে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। কারণ অবহেলার কারণে ভবিষ্যতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটির ক্ষত অনেক দূর বয়ে বেড়াতে হবে। হয়তো তখন যে অ্যাকর্ড আসবে, সেটি চিরদিনই রয়ে যাবে। তাই এ ব্যাপারে মালিকদেরই একটি নির্ভূল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য ফেডারেল অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর আমরা অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় পোশাকশিল্পের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছি। কারখানার কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। এবং সে কাজ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংগঠনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। পোশাক কারখানার বর্তমান কর্মপরিবেশ বিদেশী ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশী বিদেশী বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় একটি রেগুলেটরি বডি তৈরী করা হয়েছে। সেটি হবে শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আপগ্রেডের অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা দায়িত্ব বুঝে নিতে পারবো।
এফবিসিসিআইয়ের এ নেতা আরও বলেন, অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স সত্যিকার অর্থেই এ দেশের পোশাকশিল্পের জন্য আশির্বাদ। তারা আমাদেরকে ছেড়ে যাচ্ছেন না, বরং এ জোট দু’টির ওপর দেওয়া অর্পিত দায়িত্ব আমাদের কাছে হস্তান্তর করছেন মাত্র। কিন্তু তারা আমাদের সাথে ইনসাইডার হিসেবে কাজ করবেন।
শ্রমিকদের সংগঠন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর সারা বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বয়কটের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। অ্যাকর্ড এবং অ্যলায়েন্স গঠিত হওয়ার পর সে অবস্থার উত্তোরণ ঘটে। এক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনগুলো দেশের প্রত্যেকটি কারখানায় শ্রমিক সংগঠন সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থা দু’টির কাছে তথ্য দেয়। এবং সে মোতাবেক কর্মতৎপরতা চালিয়ে যায় যা পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এ বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন স্বপন, এম দেলোয়ার হোসেন, মো. তৌহিদুর রহমান, মাহাতাব উদ্দিন সহিদ।
তারা বলেন, অবশ্যই অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স আমাদের পোশাকশিল্পের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। এরপরও আমরা পোশাকশিল্পে বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের পক্ষে নয়। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম সরকার-মালিক-কর্মচারীর সমন্বয়ে শক্তিশালী, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহীতামূলক একটি রেগুলেটরি অথরিটি গড়ে তুলতে হবে।